27. আর তিনি স্থলে নামলে ঐ নগরের একটা বদ-রূহে পাওয়া লোক সম্মুখে উপস্থিত হল; সে অনেক দিন থেকে কাপড় পরতো না ও বাড়িতে থাকতো না, কিন্তু কবরে থাকতো।
28. ঈসাকে দেখামাত্র সে চিৎকার করে উঠলো এবং তাঁর সম্মুখে পড়ে চিৎকার বললো, হে ঈসা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি? আপনার কাছে ফরিয়াদ করি, আমাকে যাতনা দেবেন না।
29. কারণ তিনি সেই নাপাক রূহ্কে লোকটি থেকে বের হয়ে যেতে হুকুম করলেন; কেননা ঐ রূহ্ দীর্ঘকাল থেকে তাকে ধরেছিল, আর শিকল ও বেড়ী দ্বারা বেঁধে রাখলেও সে শিকল ছিঁড়ে বদ-রূহের বশে নির্জন স্থানে চলে যেত।
30. ঈসা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে বললো, বাহিনী; কেননা অনেক বদ-রূহ্ তার মধ্যে প্রবেশ করেছিল।
31. পরে তারা তাঁকে ফরিয়াদ করতে লাগল, যেন তিনি তাদেরকে অতল গর্তে চলে যেতে হুকুম না দেন।
32. সেই স্থানে পর্বতের উপরে বড় একটি শূকরের পাল চরছিল। তাতে বদ-রূহ্রা তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদেরকে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে অনুমতি দেন; তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন।
33. তখন বদ-রূহ্রা সেই লোকটির মধ্য থেকে বের হয়ে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করলো, তাতে সেই পাল বেগে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়ে গিয়ে হ্রদে পড়ে ডুবে মারা গেল।
34. এই ঘটনা দেখে, যারা সেগুলোকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গেল এবং নগরে ও পাড়ায় পাড়ায় সংবাদ দিল।
35. তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা বের হল এবং ঈসার কাছে এসে দেখলো, যে লোকটির মধ্য থেকে বদ-রূহ্গুলো বের হয়েছে, সে কাপড় পরে ও সুবোধ হয়ে ঈসার পায়ের কাছে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
36. আর যারা সেই সব ঘটনা দেখেছিল, তারা সেই বদ-রূহে পাওয়া লোকটি কিভাবে সুস্থ হয়েছিল তা তাদেরকে বললো।
37. তাতে গেরাসেনীদের প্রদেশের চারদিকের সমস্ত লোক তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদের কাছ থেকে চলে যান, কেননা তারা মহাভয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তখন তিনি নৌকায় উঠে ফিরে আসলেন।
38. আর যার মধ্য থেকে বদ-রূহ্গুলো বের হয়েছিল, সেই লোকটি অনুরোধ করলো, যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে;
39. কিন্তু তিনি তাকে বিদায় করে বললেন, তুমি তোমার বাড়িতে ফিরে যাও এবং তোমার জন্য আল্লাহ্ যে যে মহৎ কাজ করেছেন, তার বৃত্তান্ত বল। তাতে সে চলে গিয়ে, ঈসা তার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন তা নগরের সর্বত্র তবলিগ করতে লাগল।
40. ঈসা ফিরে আসলে লোকেরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করলো; কারণ সকলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।