18. অতএব তোমরা কিভাবে শুনছো সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও; কেননা যার আছে, তাকে দেওয়া যাবে; আর যার নেই, তার যা আছে বলে মনে করা হয়, তাও তার কাছ থেকে নেওয়া যাবে।
19. আর তাঁর মা ও ভাইয়েরা তাঁর কাছে আসলেন, কিন্তু জনতার ভিড়ের দরুন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলেন না।
20. পরে তাঁকে জানান হল, আপনার মা ও আপনার ভাইয়েরা আপনাকে দেখবার বাসনায় বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
21. জবাবে তিনি তাদেরকে বললেন, এই যে ব্যক্তিরা আল্লাহ্র কালাম শোনে ও পালন করে, এরাই আমার মা ও ভাইয়েরা।
22. একদিন তিনি স্বয়ং ও তাঁর সাহাবীরা একখানি নৌকায় উঠলেন। তিনি তাঁদেরকে বললেন, এসো, আমরা হ্রদের ওপারে যাই; তাতে তাঁরা নৌকা খুলে দিলেন।
23. কিন্তু তাঁরা নৌকা ছেড়ে দিলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন, আর হ্রদে ঝড় এসে পড়লো, তাতে নৌকা পানিতে পূর্ণ হতে লাগল ও তাঁরা সঙ্কটে পড়লেন।
24. পরে তাঁরা কাছে গিয়ে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, প্রভু, প্রভু, আমরা মারা পড়লাম। তখন তিনি জেগে উঠে বাতাসকে ও পানির তরঙ্গকে ধমক্ দিলেন, আর উভয়ই থেমে গেল ও শান্তি হল।
25. পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের ঈমান কোথায়? তখন তাঁরা ভয়ে আশ্চর্য হয়ে পরস্পর বললেন, ইনি তবে কে যে বাতাস ও পানিকে হুকুম দেন, আর তারা এঁর হুকুম মানে?
26. পরে তাঁরা গালীলের অন্য পারে গেরাসেনীদের অঞ্চলে পৌঁছালেন।
27. আর তিনি স্থলে নামলে ঐ নগরের একটা বদ-রূহে পাওয়া লোক সম্মুখে উপস্থিত হল; সে অনেক দিন থেকে কাপড় পরতো না ও বাড়িতে থাকতো না, কিন্তু কবরে থাকতো।
28. ঈসাকে দেখামাত্র সে চিৎকার করে উঠলো এবং তাঁর সম্মুখে পড়ে চিৎকার বললো, হে ঈসা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি? আপনার কাছে ফরিয়াদ করি, আমাকে যাতনা দেবেন না।
29. কারণ তিনি সেই নাপাক রূহ্কে লোকটি থেকে বের হয়ে যেতে হুকুম করলেন; কেননা ঐ রূহ্ দীর্ঘকাল থেকে তাকে ধরেছিল, আর শিকল ও বেড়ী দ্বারা বেঁধে রাখলেও সে শিকল ছিঁড়ে বদ-রূহের বশে নির্জন স্থানে চলে যেত।
30. ঈসা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে বললো, বাহিনী; কেননা অনেক বদ-রূহ্ তার মধ্যে প্রবেশ করেছিল।
31. পরে তারা তাঁকে ফরিয়াদ করতে লাগল, যেন তিনি তাদেরকে অতল গর্তে চলে যেতে হুকুম না দেন।
32. সেই স্থানে পর্বতের উপরে বড় একটি শূকরের পাল চরছিল। তাতে বদ-রূহ্রা তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদেরকে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে অনুমতি দেন; তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন।
33. তখন বদ-রূহ্রা সেই লোকটির মধ্য থেকে বের হয়ে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করলো, তাতে সেই পাল বেগে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়ে গিয়ে হ্রদে পড়ে ডুবে মারা গেল।
34. এই ঘটনা দেখে, যারা সেগুলোকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গেল এবং নগরে ও পাড়ায় পাড়ায় সংবাদ দিল।