31. অতএব আমি কার সঙ্গে এই কালের লোকদের তুলনা করবো? তারা কিসের মত?
32. তারা এমন বালকদের মত, যারা বাজারে বসে এক জন আর এক জনকে ডেকে বলে, ‘আমরা তোমাদের কাছে বাঁশী বাজালাম, তোমরা নাচলে না; আমরা মাতম করলাম, তোমরা কাঁদলে না।
33. কারণ বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়া এসে রুটি খান নি, আঙ্গুর-রসও পান করেন নি, তাই তোমরা বল, তাকে বদ-রূহে পেয়েছে।
34. ইবনুল-ইনসান এসে ভোজন পান করলেন, আর তোমরা বল, ঐ দেখ, এক জন পেটুক ও মদ্যপায়ী, কর-আদায়কারীদের ও গুনাহ্গারদের বন্ধু।
35. কিন্তু প্রজ্ঞা তাঁর সকল সন্তান দ্বারা নির্দোষ বলে গণিত হলেন।
36. আর ফরীশীদের মধ্যে এক জন তাঁকে তার সঙ্গে ভোজন করতে দাওয়াত করলো। তাতে তিনি সেই ফরীশীর বাড়িতে প্রবেশ করে ভোজনে বসলেন।
37. আর দেখ, সেই নগরে এক জন গুনাহ্গার স্ত্রীলোক ছিল। সে যখন জানতে পারল, তিনি সেই ফরীশীর বাড়িতে ভোজনে বসেছেন, তখন একটি শ্বেত পাথরের পাত্রে সুগন্ধি তেল নিয়ে আসল।
38. পরে পিছনের দিকে তাঁর পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানিতে তাঁর পা ভিজাতে লাগল এবং তার মাথার চুল দিয়ে তা মুছে দিল, আর তাঁর পা চুম্বন করতে করতে সেই সুগন্ধি তেল মাখাতে লাগল।
39. তা দেখে, যে ফরীশী তাঁকে দাওয়াত করেছিল, সে মনে মনে বললো, এ যদি নবী হত তবে জানতে পারতো, একে যে স্পর্শ করছে সে কে এবং কি রকম স্ত্রীলোক, কারণ সে গুনাহ্গার।
40. তখন জবাবে ঈসা তাঁকে বললেন, শিমোন, তোমাকে আমার কিছু বলবার আছে।
41. সে বললো, হুজুর, বলুন। এক মহাজনের দু’জন ঋণী ছিল; এক জন ঋণ নিয়েছিল পাঁচ শত সিকি, আর এক জন পঞ্চাশ সিকি।
42. তাদের পরিশোধ করার সঙ্গতি না থাকাতে তিনি উভয়কেই মাফ করলেন। ভাল, তাদের মধ্যে কে তাঁকে বেশি মহব্বত করবে?
43. শিমোন জবাবে বললো, আমার মনে হয়, যার বেশি ঋণ মাফ করলেন, সেই। তিনি তাকে বললেন, যথার্থ বিচার করলে।