1. লোকদের কাছে তাঁর সমস্ত কথা বলা শেষ করে তিনি কফরনাহূমে প্রবেশ করলেন।
2. তখন এক জন শতপতির এক জন গোলাম অসুস্থ হয়ে মৃতপ্রায় হয়েছিল; সে তার প্রিয়পাত্র ছিল।
3. তিনি ঈসার সংবাদ শুনে ইহুদীদের কয়েক জন প্রাচীনকে দিয়ে তাঁর কাছে নিবেদন করে পাঠালেন, যেন তিনি এসে তার গোলামকে বাঁচান।
4. তারা ঈসার কাছে এসে আগ্রহপূর্বক ফরিয়াদ করে বলতে লাগলেন, আপনি যে তার জন্য এই কাজ করেন, তিনি তার যোগ্য;
5. কেননা তিনি আমাদের জাতিকে মহব্বত করেন, আর আমাদের মজলিস-খানা তিনি নিজে নির্মাণ করে দিয়েছেন।
6. ঈসা তাদের সঙ্গে গমন করলেন, আর তিনি বাড়ির অনতিদূরে থাকতেই শতপতি কয়েক জন বন্ধুর মধ্য দিয়ে তাঁকে বলে পাঠালেন, প্রভু, নিজেকে কষ্ট দেবেন না; কেননা আমি এমন যোগ্য নই যে, আপনি আমার ছাদের নিচে আসেন;
7. সেজন্য আমি নিজেকেও আপনার কাছে আসার যোগ্য মনে করি নি; আপনি মুখে বলুন, তাতেই আমার গোলাম সুস্থ হবে।
8. কারণ আমিও কর্তৃত্বের অধীনে নিযুক্ত লোক, আবার সৈন্যরা আমার অধীন; আর আমি তাদের এক জনকে ‘যাও’ বললে সে যায় এবং অন্যকে ‘এসো’ বললে সে আসে, আর আমার গোলামকে ‘এই কাজ কর’ বললে সে তা করে।
9. এসব কথা শুনে ঈসা তার বিষয়ে আশ্চর্য জ্ঞান করলেন এবং যে লোকেরা তাঁর পিছনে পিছনে আসছিল, তিনি তাদের দিকে ফিরে বললেন, আমি তোমাদেরকে বলছি, ইসরাইলের মধ্যেও এত বড় ঈমান দেখতে পাই নি।
10. পরে যাদেরকে পাঠান হয়েছিল, তারা বাড়িতে ফিরে গিয়ে সেই গোলামকে সুস্থ দেখতে পেলেন।
11. কিছু কাল পরে তিনি নায়িন্ নামক নগরে যাত্রা করলেন এবং তাঁর সাহাবীরা ও অনেক লোক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিল।
12. যখন তিনি নগর-দ্বারের নিকটবর্তী হলেন তখন লোকেরা একটি মৃত মানুষকে বহন করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল; সে তার মায়ের একমাত্র পুত্র এবং সেই মা এক জন বিধবা; আর নগরের অনেক লোক তার সঙ্গে ছিল।
13. তাকে দেখে প্রভু তার প্রতি করুণাবিষ্ট হলেন এবং তাকে বললেন, কেঁদো না।
14. পরে কাছে গিয়ে খাট সপর্শ করলেন; তাতে বাহকেরা দাঁড়ালো। তিনি বললেন, হে যুবক, তোমাকে বলছি, উঠ।