15. এবং মথি ও থোমা এবং আল্ফেয়ের (পুত্র) ইয়াকুব ও উদ্যোগী আখ্যাত শিমোন,
16. ইয়াকুবের (পুত্র) এহুদা, এবং ঈষ্করিয়োতীয় এহুদা, যে তাঁকে দুশমনদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল।
17. পরে তিনি তাঁদের সঙ্গে নেমে একটি সমান ভূমির উপরে গিয়ে দাঁড়ালেন; আর তাঁর অনেক সাহাবী এবং সমস্ত এহুদিয়া ও জেরুশালেম এবং টায়ার ও সিডনের সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক লোক উপস্থিত হল;
18. তারা তাঁর কথা শুনবার ও নিজ নিজ রোগ থেকে সুস্থ হবার জন্য তাঁর কাছে এসেছিল এবং যারা নাপাক রূহ্ দ্বারা কষ্ট পাচ্ছিল তারা সুস্থ হল।
19. আর সমস্ত লোক তাঁকে স্পর্শ করতে চেষ্টা করলো, কেননা তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বের হয়ে সকলকে সুস্থ করছিল।
20. পরে তিনি তাঁর সাহাবীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন, ধন্য দীনহীনেরা, কারণ আল্লাহ্র রাজ্য তোমাদেরই।
21. ধন্য তোমরা, যারা এখন ক্ষুধিত, কারণ তোমরা পরিতৃপ্ত হবে। ধন্য তোমরা, যারা এখন কান্নাকাটি কর, কারণ তোমরা হাসবে।
22. ধন্য তোমরা, যখন লোকে ইবনুল-ইনসানের জন্য তোমাদেরকে হিংসা করে, আর যখন তোমাদেরকে পৃথক করে দেয় ও নিন্দা করে এবং তোমাদের নাম মন্দ বলে দূর করে দেয়।
23. সেদিন আনন্দ করো ও নৃত্য করো, কেননা দেখ, বেহেশতে তোমাদের পুরস্কার প্রচুর; কেননা তাদের পূর্বপুরুষেরা নবীদের প্রতি তা-ই করতো।
24. কিন্তু ধিক্ তোমাদেরকে, তোমরা যারা ধনবান, কারণ তোমরা তোমাদের সান্ত্বনা পেয়েছ।
25. ধিক্ তোমাদেরকে, যারা এখন পরিতৃপ্ত, কারণ তোমরা ক্ষুধিত হবে; ধিক্ তোমাদেরকে, যারা এখন হাসছো, কারণ তোমরা মাতম করবে ও কাঁদবে।
26. ধিক্ তোমাদেরকে, যখন সকল লোকে তোমাদের সুখ্যাতি করে, কারণ তাদের পূর্বপুরুষেরা ভণ্ড নবীদের প্রতি তা-ই করতো।
27. কিন্তু তোমরা যে শুনছো, আমি তোমাদেরকে বলি, তোমরা নিজ নিজ দুশমনদেরকে মহব্বত করো; যারা তোমাদেরকে হিংসা করে, তাদের মঙ্গল করো;