14. তখন ঈসা পাক-রূহের শক্তিতে পূর্ণ হয়ে গালীলে ফিরে গেলেন এবং তাঁর কীর্তি চারদিকের সমস্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লো।
15. আর তিনি তাদের মজলিস-খানাগুলোতে উপদেশ দিয়ে সকলের দ্বারা গৌরবান্বিত হতে লাগলেন।
16. আর তিনি যেখানে লালিত-পালিত হয়েছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হলেন এবং আপন রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে মজলিস-খানায় প্রবেশ করলেন ও পাঠ করতে দাঁড়ালেন।
17. তখন ইশাইয়া নবীর কিতাব তাঁর হাতে দেওয়া হল, আর তিনি কিতাবখানি খুলে সেই স্থান পেলেন যেখানে লেখা আছে,
18. “প্রভুর রূহ্ আমার মধ্যে অবস্থিতি করেন,কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করেছেন,দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার তবলিগ করার জন্য;তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন, বন্দীদের কাছে মুক্তি,এবং অন্ধদের কাছে দৃষ্টিদান ঘোষণা করার জন্য,নির্যাতিতদেরকে নিস্তার করে বিদায় করার জন্য,
19. প্রভুর রহমতের বছর ঘোষণা করার জন্য”।
20. পরে তিনি কিতাবখানি বন্ধ করে কর্মচারীর হাতে দিয়ে বসলেন। তাতে মজলিস-খানায় সকলের চোখ তাঁর প্রতি স্থির হয়ে রইলো।
21. আর তিনি তাদেরকে বলতে লাগলেন, পাক-কিতাবের এই কালাম তোমাদের কর্ণগোচরে পূর্ণ হল।
22. তাতে সকলে তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিল ও তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া সুন্দর সুন্দর কথায় আশ্চর্য হল; আর বললো, এ কি ইউসুফের পুত্র নয়?
23. তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা আমাকে অবশ্য এই প্রবাদ বাক্য বলবে, চিকিৎসক, নিজেকেই সুস্থ কর; কফরনাহূমে যা যা করা হয়েছে বলে শুনেছি, এখানে এই স্বদেশেও কর।
24. তিনি আরও বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, কোন নবী স্বদেশে গ্রাহ্য হয় না।
25. আর আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, ইলিয়াসের সময় যখন তিন বছর ছয় মাস পর্যন্ত আসমান রুদ্ধ ছিল ও সারা দেশে মহা দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়েছিল,
26. কিন্তু ইলিয়াস তাদের কারো কাছে প্রেরিত হন নি, কেবল সিডন দেশের সারিফতে এক জন বিধবা স্ত্রীলোকের কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন।