26. মসীহের কি আবশ্যক ছিল না যে, এ সব দুঃখভোগ করেন ও আপন প্রতাপে প্রবেশ করেন?
27. পরে তিনি মূসার শরীয়ত ও সমস্ত নবীদের কিতাব থেকে আরম্ভ করে সমস্ত কিতাবে তাঁর নিজের বিষয়ে যেসব কথা আছে, তা তাঁদেরকে বুঝিয়ে দিলেন।
28. পরে তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন, সেই গ্রামের কাছে উপস্থিত হলেন; আর তিনি আগে যাবার লক্ষণ দেখালেন।
29. কিন্তু তাঁরা সাধ্য সাধনা করে বললেন, আমাদের সঙ্গে অবস্থান করুন, কারণ সন্ধ্যা হয়ে আসল, বেলা প্রায় গেছে। তাতে তিনি তাঁদের সঙ্গে অবস্থান করার জন্য বাড়িতে প্রবেশ করলেন।
30. পরে যখন তিনি তাঁদের সঙ্গে ভোজনে বসলেন, তখন রুটি নিয়ে দোয়া করলেন এবং ভেঙ্গে তাঁদেরকে দিতে লাগলেন।
31. অমনি তাঁদের চোখ খুলে গেল, তাঁরা তাঁকে চিনতে পারলেন; আর তিনি তাঁদের থেকে অন্তর্হিত হলেন।
32. তখন তাঁরা পরস্পর বললেন, পথের মধ্যে যখন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, আমাদের কাছে পাক-কিতাবের অর্থ খুলে দিচ্ছিলেন, তখন আমাদের অন্তর কি আমাদের ভিতরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল না?
33. আর তাঁরা সেই দণ্ডেই উঠে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন; এবং সেই এগারো জনকে ও তাঁদের সঙ্গীদেরকে সমবেত দেখতে পেলেন;
34. তাঁরা বললেন, প্রভু নিশ্চয়ই উঠেছেন এবং শিমোনকে দেখা দিয়েছেন।
35. পরে সেই দু’জন পথের ঘটনার বিষয় এবং রুটি ভাঙ্গবার সময়ে তাঁরা কিভাবে তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন, এসব বৃত্তান্ত বললেন।
36. তাঁরা পরস্পর এসব কথাবার্তা বলছেন, ইতোমধ্যে তিনি নিজে তাঁদের মধ্যস্থানে দাঁড়ালেন ও তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের শান্তি হোক।
37. এতে তাঁরা ভীষণ ভয় পেয়ে ও আতঙ্কিত হয়ে মনে করলেন, রূহ্ দেখছি।
38. তিনি তাঁদেরকে বললেন, কেন ভয় পাচ্ছ? তোমাদের অন্তরে বিতর্কের উদয়ই বা কেন হচ্ছে?