10. এঁরা মগ্দলীনী মরিয়ম, যোহানা ও ইয়াকুবের মা মরিয়ম; আর এঁদের সঙ্গে অন্য স্ত্রীলোকেরাও প্রেরিতদেরকে এসব কথা বললেন।
11. কিন্তু এসব কথা তাঁদের কাছে গল্পের মত মনে হল; তাঁরা তাঁদের কথায় বিশ্বাস করলেন না।
12. তবুও পিতর উঠে কবরের কাছে দৌড়ে গেলেন এবং হেঁট হয়ে দৃষ্টিপাত করে দেখলেন, কেবল কাপড় পড়ে রয়েছে; আর যা ঘটেছে, তাতে আশ্চর্য জ্ঞান করে স্বস্থানে চলে গেলেন।
13. আর দেখ, সেদিন তাঁদের দু’জন জেরুশালেম থেকে চার মাইল দূরবর্তী ইম্মায়ূ নামক গ্রামে যাচ্ছিলেন,
14. এবং তাঁরা ঐ সমস্ত ঘটনার বিষয়ে পরস্পর কথোপকথন করছিলেন।
15. তাঁরা কথাবার্তা বলছেন ও পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, এমন সময়ে ঈসা নিজে কাছে এসে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে গমন করতে লাগলেন;
16. কিন্তু তাঁদের চোখ যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই তাঁকে চিনতে পারলেন না।
17. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা চলতে চলতে পরস্পর যেসব কথা বলাবলি করছো, সেসব কি? তাঁরা বিষণ্নভাবে দাঁড়িয়ে রলেন।
18. পরে ক্লিয়পা নামে তাঁদের এক জন জবাবে তাঁকে বললেন, আপনি কি একা জেরুশালেমে প্রবাস করছেন, আর এই কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে যেসব ঘটনা হয়েছে, তা জানেন না?
19. তিনি তাঁদেরকে বললেন, কি কি ঘটনা ঘটেছে? তাঁরা তাঁকে বললেন, নাসরতীয় ঈসা বিষয়ক ঘটনা, যিনি আল্লাহ্র ও সব লোকের সাক্ষাতে কাজে ও কথায় পরাক্রমী নবী ছিলেন;
20. আর কিভাবে প্রধান ইমামেরা ও আমাদের নেতৃবর্গরা প্রাণদণ্ড দেবার জন্য তুলে দিলেন ও ক্রুশে হত্যা করালেন।
21. কিন্তু আমরা আশা করছিলাম যে, তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি ইসরাইলকে মুক্ত করবেন। আর এসব ছাড়া আজ তিন দিন চলছে, এসব ঘটেছে।
22. আবার আমাদের কয়েক জন স্ত্রীলোক আমাদেরকে চমৎকৃত করলেন; তাঁরা খুব ভোরে তাঁর কবরের কাছে গিয়েছিলেন।
23. তারা তাঁর লাশ দেখতে না পেয়ে এসে বললেন, ফেরেশতাদের দর্শন পেয়েছি, তাঁরা বলেন, তিনি জীবিত আছেন।