6. এই কথা শুনে পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, এই ব্যক্তি কি গালীলীয়?
7. পরে যখন তিনি জানতে পারলেন, ইনি হেরোদের অধিকারের লোক, তখন তাঁকে হেরোদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, কেননা সেই সময়ে তিনিও জেরুশালেমে ছিলেন।
8. ঈসাকে দেখে হেরোদ অতিশয় আনন্দিত হলেন, কেননা তিনি তাঁর বিষয় শুনেছিলেন, এজন্য অনেক দিন থেকে তাঁকে দেখতে বাঞ্ছা করছিলেন এবং তাঁর কৃত কোন চিহ্ন দেখবার আশা করতে লাগলেন।
9. তিনি তাঁকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু ঈসা তাঁকে কোন জবাব দিলেন না।
10. আর প্রধান ইমামেরা ও আলেমেরা দাঁড়িয়ে উগ্রভাবে তাঁর উপর দোষারোপ করছিল।
11. আর হেরোদ ও তাঁর সৈন্যেরা তাঁকে তুচ্ছ করলেন ও বিদ্রূপ করলেন এবং জমকাল পোশাক পরিয়ে তাঁকে আবার পীলাতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
12. সেদিন হেরোদ ও পীলাত পরসপর বন্ধু হয়ে উঠলেন, কেননা আগে তাঁদের মধ্যে শত্রুভাব ছিল।
13. পরে পীলাত প্রধান ইমামেরা নেতৃবর্গ ও লোকদেরকে একত্র ডেকে তাদেরকে বললেন,
14. তোমরা এই ব্যক্তিকে আমার কাছে এই বলে এনেছ যে, সে লোককে বিপথে নিয়ে যায়; আর দেখ, আমি তোমাদের সাক্ষাতে বিচার করলেও, তোমরা তার উপরে যেসব দোষারোপ করছো, তার মধ্যে এই ব্যক্তির কোন দোষই পেলাম না;
15. আর হেরোদও পান নি, কেননা তিনি তাকে আমাদের কাছে ফেরৎ পাঠিয়েছেন; আর দেখ, এই ব্যক্তি প্রাণদণ্ডের যোগ্য কিছুই করে নি।
16. অতএব আমি তাকে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেব।
17. তিনি এই কথা বললেন কারণ ঐ ঈদের সময়ে তাদের জন্য এক জনকে তাঁর ছেড়ে দিতেই হত।
18. কিন্তু তারা দলসুদ্ধ সকলে চিৎকার করে বললো, একে দূর কর, আমাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দাও।
19. নগরের মধ্যে দাঙ্গা ও খুন হওয়ার কারণে সেই ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল।
20. পরে পীলাত ঈসাকে মুক্ত করার বাসনায় আবার তাদের কাছে কথা বললেন।
21. কিন্তু তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল, ওকে ক্রুশে দাও, ওকে ক্রুশে দাও।
22. পরে তিনি তৃতীয় বার তাদেরকে বললেন, কেন? এ কি অপরাধ করেছে? আমি তার প্রাণদণ্ডের যোগ্য কোন দোষই পাই নি, অতএব একে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেব।