লূক 22:5-19 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

5. এতে তারা আনন্দিত হয়ে তাকে টাকা দিতে ওয়াদা করলো।

6. তাতে এহুদা সম্মত হল এবং জনতার অগোচরে তাঁকে তাদের হাতে ধরিয়ে দেবার সুযোগ খুঁজতে লাগল।

7. পরে খামিহীন রুটির দিন, অর্থাৎ যেদিন ঈদুল ফেসাখের ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করতে হত, সেই দিন আসল।

8. তখন তিনি পিতর ও ইউহোন্নাকে প্রেরণ করে বললেন, তোমরা গিয়ে আমাদের জন্য ঈদুল ফেসাখের মেজবানী প্রস্তুত কর, আমরা ভোজন করবো।

9. তাঁরা বললেন, কোথায় প্রস্তুত করবো? আপনার ইচ্ছা কি?

10. তিনি তাঁদেরকে বললেন, দেখ, তোমরা নগরে প্রবেশ করলে এমন এক ব্যক্তি তোমাদের সম্মুখে পড়বে, যে ব্যক্তি এক কলসী পানি নিয়ে আসছে; তোমরা তার পিছন পিছন যে বাড়িতে সে প্রবেশ করবে সেখানে যাবে।

11. আর তোমরা বাড়ির মালিককে বলবে, হুজুর আপনাকে বলছেন, যেখানে আমি আমার সাহাবীদের সঙ্গে ঈদুল ফেসাখের মেজবানীর ভোজন করতে পারি, সেই মেহমানশালা কোথায়?

12. তাতে সে তোমাদেরকে সাজানো একটি উপরের বড় কুঠরী দেখিয়ে দেবে; সেই স্থানে মেজবানী প্রস্তুত করো।

13. তাঁরা গিয়ে তিনি যেমন বলেছিলেন, তেমনই দেখতে পেলেন; আর ঈদুল ফেসাখের মেজবানীর প্রস্তুত করলেন।

14. পরে সময় উপস্থিত হলে তিনি ও তাঁর সঙ্গে প্রেরিতেরা ভোজনে বসলেন।

15. তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, আমার দুঃখ-ভোগের আগে তোমাদের সঙ্গে আমি এই ঈদুল ফেসাখের মেজবানীর ভোজন করতে একান্তই বাঞ্ছা করেছি;

16. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, যে পর্যন্ত আল্লাহ্‌র রাজ্যে এর উদ্দেশ্য পূর্ণ না হয়, সেই পর্যন্ত আমি তা আর ভোজন করবো না।

17. পরে তিনি পানপাত্র গ্রহণ করে শুকরিয়াপূর্বক বললেন, এই নাও এবং নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নাও;

18. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, যে পর্যন্ত আল্লাহ্‌র রাজ্যের আগমন না হয়, এখন থেকে সেই পর্যন্ত আমি আঙ্গুর ফলের রস আর পান করবো না।

19. পরে তিনি রুটি নিয়ে শুকরিয়াপূর্বক ভাঙ্গলেন এবং তাঁদেরকে দিলেন, বললেন, এ আমার শরীর, যা তোমাদের জন্য দেওয়া যাচ্ছে, আমার স্মরণার্থে এরকম করো।

লূক 22