15. তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, আমার দুঃখ-ভোগের আগে তোমাদের সঙ্গে আমি এই ঈদুল ফেসাখের মেজবানীর ভোজন করতে একান্তই বাঞ্ছা করেছি;
16. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, যে পর্যন্ত আল্লাহ্র রাজ্যে এর উদ্দেশ্য পূর্ণ না হয়, সেই পর্যন্ত আমি তা আর ভোজন করবো না।
17. পরে তিনি পানপাত্র গ্রহণ করে শুকরিয়াপূর্বক বললেন, এই নাও এবং নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নাও;
18. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, যে পর্যন্ত আল্লাহ্র রাজ্যের আগমন না হয়, এখন থেকে সেই পর্যন্ত আমি আঙ্গুর ফলের রস আর পান করবো না।
19. পরে তিনি রুটি নিয়ে শুকরিয়াপূর্বক ভাঙ্গলেন এবং তাঁদেরকে দিলেন, বললেন, এ আমার শরীর, যা তোমাদের জন্য দেওয়া যাচ্ছে, আমার স্মরণার্থে এরকম করো।
20. আর সেভাবে তিনি ভোজন শেষ হলে পানপাত্রটি নিয়ে বললেন, এই পানপাত্র আমার রক্তে নতুন নিয়ম, যে রক্ত তোমাদের জন্য ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
21. কিন্তু দেখ, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তার হাত আমার সঙ্গে টেবিলের উপরে রয়েছে।
22. কেননা যেমন নির্ধারিত হয়েছে, সেই অনুসারে ইবনুল-ইনসান যাচ্ছেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
23. তখন তাঁরা পরস্পর জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, তবে আমাদের মধ্যে এই কাজ কে করবে?
24. আর তাঁদের মধ্যে এই বিবাদও উৎপন্ন হল যে, তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য?
25. কিন্তু তিনি তাঁদেরকে বললেন, জাতিদের বাদশাহ্রাই তাদের উপরে প্রভুত্ব করে এবং তাদের শাসনকর্তারাই ‘হিতকারী’ বলে আখ্যাত হয়।
26. কিন্তু তোমরা সেরকম হয়ো না; বরং তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ, সে কনিষ্ঠের মত হোক এবং যে প্রধান, সে পরিচারকের মত হোক।
27. কারণ কে শ্রেষ্ঠ? যে ভোজনে বসে, না যে পরিচর্যা করে? যে ভোজনে বসে, সেই কি নয়? কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে পরিচারকের মত রয়েছি।
28. তোমরাই আমার সকল পরীক্ষার মধ্যে আমার সঙ্গে সঙ্গে বরাবর রয়েছ;
29. আর আমার পিতা যেমন আমার জন্য নির্ধারণ করেছেন, আমিও তেমনি তোমাদের জন্য একটি রাজ্য নির্ধারণ করছি,