9. আর যখন তোমরা যুদ্ধের ও গণ্ডগোলের কথা শুনবে, ভয় পেও না, কেননা প্রথমে এসব ঘটবেই ঘটবে, কিন্তু তখনই শেষ নয়।
10. পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠবে।
11. বড় বড় ভূমিকমপ এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হবে, আর আসমানে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন-কাজ হবে;
12. কিন্তু এসব ঘটনার আগে লোকেরা তোমাদের উপরে হস্তক্ষেপ করবে, তোমাদেরকে নির্যাতন করবে, মজলিস-খানায় নিয়ে যাবে ও কারাগারে তুলে দেবে; আমার নামের জন্য তোমাদেরকে বাদশাহ্দের ও শাসনকর্তাদের সম্মুখে নিয়ে যাওয়া হবে।
13. সাক্ষ্যের জন্য এসব তোমাদের প্রতি ঘটবে।
14. অতএব মনে মনে স্থির করো যে, কি উত্তর দিতে হবে, তার জন্য আগে চিন্তা করবে না।
15. কেননা আমি তোমাদেরকে এমন মুখ ও বিজ্ঞতা দেব যে, তোমাদের বিপক্ষেরা কেউ প্রতিরোধ করতে বা উত্তর দিতে পারবে না।
16. আর তোমাদের পিতা-মাতা, ভাইয়েরা, জ্ঞাতি ও বন্ধুরা তোমাদের ধরিয়ে দেবে এবং তোমাদের কোন কোন ব্যক্তিকে তারা খুন করাবে।
17. আর আমার নামের দরুন সকলে তোমাদের ঘৃণা করবে।
18. কিন্তু তোমাদের মাথার একগাছি কেশও নষ্ট হবে না।
19. তোমরা নিজ নিজ ধৈর্যে নিজ নিজ প্রাণ লাভ করবে।
20. আর যখন তোমরা জেরুশালেমকে সৈন্যসামন্ত দ্বারা ঘেরাও হতে দেখবে, তখন জানবে যে, তার ধ্বংস সন্নিকট।
21. তখন যারা এহুদিয়ায় থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক এবং যারা নগরের মধ্যে থাকে, তারা বাইরে যাক; আর যারা পল্লীগ্রামে থাকে, তারা নগরে প্রবেশ না করুক।
22. কেননা তখন প্রতিশোধের সময়, যে সমস্ত কথা লেখা আছে, সেসব পূর্ণ হবার সময়।
23. হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী স্ত্রীদের সন্তাপ! কেননা দেশে বিষম দুর্গতি হবে এবং এই জাতির উপরে আল্লাহ্র গজব নেমে আসবে।
24. লোকেরা তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে এবং বন্দী হয়ে সকল জাতির মধ্যে নীত হবে; আর জাতিদের সময় সমপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জেরুশালেম জাতিদের দ্বারা পদ-দলিত হবে।
25. আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্রগুলোর মধ্যে নানা চিহ্ন প্রকাশ পাবে এবং দুনিয়াতে সমস্ত জাতি কষ্ট পাবে, তারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্জনে ভীষণ ভয় পাবে।