20. আর যখন তোমরা জেরুশালেমকে সৈন্যসামন্ত দ্বারা ঘেরাও হতে দেখবে, তখন জানবে যে, তার ধ্বংস সন্নিকট।
21. তখন যারা এহুদিয়ায় থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক এবং যারা নগরের মধ্যে থাকে, তারা বাইরে যাক; আর যারা পল্লীগ্রামে থাকে, তারা নগরে প্রবেশ না করুক।
22. কেননা তখন প্রতিশোধের সময়, যে সমস্ত কথা লেখা আছে, সেসব পূর্ণ হবার সময়।
23. হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী স্ত্রীদের সন্তাপ! কেননা দেশে বিষম দুর্গতি হবে এবং এই জাতির উপরে আল্লাহ্র গজব নেমে আসবে।
24. লোকেরা তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে এবং বন্দী হয়ে সকল জাতির মধ্যে নীত হবে; আর জাতিদের সময় সমপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জেরুশালেম জাতিদের দ্বারা পদ-দলিত হবে।
25. আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্রগুলোর মধ্যে নানা চিহ্ন প্রকাশ পাবে এবং দুনিয়াতে সমস্ত জাতি কষ্ট পাবে, তারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্জনে ভীষণ ভয় পাবে।
26. ভয়ে এবং ভূমণ্ডলে যা যা ঘটবে তার আশঙ্কায় মানুষের প্রাণ উড়ে যাবে; কেননা আসমানের পরাক্রমগুলো বিচলিত হবে।
27. আর সেই সময় তারা ইবনুল-ইনসানকে পরাক্রম ও মহামহিমা সহকারে মেঘযোগে আসতে দেখবে।
28. কিন্তু এসব ঘটনা আরম্ভ হলে তোমরা উঠে দাঁড়ায়ো, মাথা তুলো, কেননা তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।
29. আর তিনি তাদেরকে একটি দৃষ্টান্ত বললেন, ডুমুর গাছ ও অন্যান্য গাছগুলোকে লক্ষ্য কর;
30. যখন সেগুলো পল্লবিত হয়, তখন তা দেখে তোমরা নিজেরাই বুঝতে পার যে, এখন গ্রীষ্মকাল সন্নিকট।
31. তেমনি তোমরাও যখন এসব ঘটছে দেখতে পাবে, তখন জানবে, আল্লাহ্র রাজ্য সন্নিকট।
32. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধ না হবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হবে না।
33. আসমানের ও দুনিয়ার লোপ হবে, কিন্তু আমার কথার লোপ কখনও হবে না।
34. কিন্তু নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো, পাছে উচ্ছৃঙ্খলতায়, মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের অন্তর ভারগ্রস্ত হয়, আর সেদিন হঠাৎ ফাঁদের মত তোমাদের উপরে এসে পড়ে;
35. কেননা সেদিন সমস্ত ভূতল-নিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হবে।