31. এভাবে সাত জনই সন্তান না রেখে মারা গেল।
32. শেষে সেই স্ত্রীও মারা গেল।
33. অতএব পুনরুত্থানে সে তাদের মধ্যে কার স্ত্রী হবে? তারা সাত জনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
34. ঈসা তাদেরকে বললেন, এই দুনিয়ার সন্তানেরা বিয়ে করে এবং বিবাহিতা হয়।
35. কিন্তু যারা সেই দুনিয়ার এবং মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানের অধিকারী হবার যোগ্য গণিত হয়েছে, তারা বিয়ে করে না এবং বিবাহিতাও হয় না।
36. তারা আর মরতেও পারে না, কেননা তারা ফেরেশতাদের সমতুল্য এবং পুনরুত্থানের সন্তান হওয়াতে আল্লাহ্র সন্তান।
37. আবার মৃতরা যে উত্থাপিত হয়, এই বিষয়ে মূসাও ঝোপের বৃত্তান্তে দেখিয়েছেন; কেননা তিনি প্রভুকে “ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইস্হাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্” বলেছেন।
38. আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, কিন্তু জীবিতদের; কেননা তাঁর সাক্ষাতে সকলেই জীবিত।
39. তখন কয়েক জন আলেম বললো, হুজুর, আপনি বেশ বলেছেন।
40. বাস্তবিক, সেই সময় থেকে তাঁকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে তাদের আর সাহস হল না।
41. আর তিনি তাদেরকে বললেন, লোকে কেমন করে মসীহ্কে দাউদের সন্তান বলে?
42. দাউদ তো নিজে জবুর শরীফে বলেন,“প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,প্রভু তুমি আমার ডানদিকে বস,
43. যতদিন না আমি তোমার দুশমনদেরকেতোমার পায়ের তলায় রাখি।”
44. অতএব দাউদ তাঁকে প্রভু বলেছেন; তবে তিনি কিভাবে তাঁর সন্তান?
45. পরে তিনি সব লোকের কর্ণগোচরে তাঁর সাহাবীদের বললেন,
46. আলেমদের থেকে সাবধান, তারা লম্বা লম্বা কাপড় পরে বেড়াতে চায় ও হাট বাজারে লোকদের মঙ্গলবাদ, মজলিস-খানায় প্রধান প্রধান আসন এবং ভোজে প্রধান প্রধান স্থান ভালবাসে।
47. তারা বিধবাদের বাড়ি গ্রাস করে এবং লোককে দেখাবার জন্য লম্বা লম্বা মুনাজাত করে; তারা বিচারে আরও বেশি দণ্ড পাবে।