26. এতে তারা লোকদের সাক্ষাতে তাঁর কথার কোন ছিদ্র ধরতে পারল না, বরং তার উত্তরে আশ্চর্য জ্ঞান করে চুপ করে রইলো।
27. আর সদ্দূকীরা, যারা প্রতিবাদ করে বলে, পুনরুত্থান নেই, তাদের কয়েক জন কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো,
28. হুজুর, মূসা আমাদের জন্য লিখেছেন, কারো ভাই যদি স্ত্রী রেখে মারা যায়, আর তার সন্তান না থাকে, তবে তার ভাই সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করবে ও আপন ভাইয়ের জন্য বংশ উৎপন্ন করবে।
29. ভাল, সাতটি ভাই ছিল; প্রথম জন এক জন স্ত্রীকে বিয়ে করলো, আর সে সন্তান না রেখে মারা গেল।
30. পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাই সেই স্ত্রীকে বিয়ে করলো;
31. এভাবে সাত জনই সন্তান না রেখে মারা গেল।
32. শেষে সেই স্ত্রীও মারা গেল।
33. অতএব পুনরুত্থানে সে তাদের মধ্যে কার স্ত্রী হবে? তারা সাত জনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
34. ঈসা তাদেরকে বললেন, এই দুনিয়ার সন্তানেরা বিয়ে করে এবং বিবাহিতা হয়।
35. কিন্তু যারা সেই দুনিয়ার এবং মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানের অধিকারী হবার যোগ্য গণিত হয়েছে, তারা বিয়ে করে না এবং বিবাহিতাও হয় না।
36. তারা আর মরতেও পারে না, কেননা তারা ফেরেশতাদের সমতুল্য এবং পুনরুত্থানের সন্তান হওয়াতে আল্লাহ্র সন্তান।
37. আবার মৃতরা যে উত্থাপিত হয়, এই বিষয়ে মূসাও ঝোপের বৃত্তান্তে দেখিয়েছেন; কেননা তিনি প্রভুকে “ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইস্হাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্” বলেছেন।
38. আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, কিন্তু জীবিতদের; কেননা তাঁর সাক্ষাতে সকলেই জীবিত।
39. তখন কয়েক জন আলেম বললো, হুজুর, আপনি বেশ বলেছেন।
40. বাস্তবিক, সেই সময় থেকে তাঁকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে তাদের আর সাহস হল না।
41. আর তিনি তাদেরকে বললেন, লোকে কেমন করে মসীহ্কে দাউদের সন্তান বলে?