15. ফেরেশতারা তাদের কাছ থেকে বেহেশতে চলে গেলে পর ভেড়ার রাখালরা পরস্পর বললো, চল, আমরা একবার বেথেলহেম পর্যন্ত যাই এবং এই যে ব্যাপার প্রভু আমাদেরকে জানালেন তা গিয়ে দেখি।
16. পরে তারা তাড়াতাড়ি গিয়ে মরিয়ম ও ইউসুফ এবং সেই যাবপাত্রে শোয়ানো শিশুটিকে দেখতে পেল।
17. দেখে বালকটির বিষয়ে যে কথা তাদেরকে বলা হয়েছিল তা জানালো।
18. তাতে যত লোক ভেড়ার রাখালদের মুখে ঐ সব কথা শুনলো, সকলে এসব বিষয়ে আশ্চর্য জ্ঞান করলো।
19. কিন্তু মরিয়ম সেসব কথা হৃদয়ের মধ্যে আন্দোলন করতে করতে মনে সঞ্চয় করে রাখলেন।
20. আর ভেড়ার রাখালদেরকে যেমন বলা হয়েছিল, তারা তেমনি সবকিছু দেখে শুনে আল্লাহ্র গৌবর ও প্রশংসা-গান করতে করতে ফিরে আসলো।
21. আর যখন বালকটির খৎনা করাবার জন্য আট দিন পূর্ণ হল, তখন তাঁর নাম ঈসা রাখা হল; এই নাম তাঁর গর্ভস্থ হবার আগে ফেরেশতার দ্বারা রাখা হয়েছিল।
22. পরে যখন মূসার শরীয়ত অনুসারে তাঁদের পাক-পবিত্র হবার কাল সম্পূর্ণ হল, তখন তাঁরা তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে গেলেন, যেন তাঁকে প্রভুর কাছে উপস্থিত করেন,
23. যেমন প্রভুর শরীয়তে লেখা আছে, ‘গর্ভ উন্মোচক প্রত্যেক পুরুষ সন্তান প্রভুর উদ্দেশে পবিত্র বলে আখ্যাত হবে’;
24. আর যেন কোরবানী দান করেন, যেমন প্রভুর শরীয়তে উক্ত হয়েছে, ‘এক জোড়া ঘুঘু কিংবা দু’টি কবুতরের বাচ্চা।’
25. আর দেখ, শামাউন নামে এক ব্যক্তি জেরুশালেমে ছিলেন। তিনি ধার্মিক ও আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং ইসরাইলের সান্ত্বনার অপেক্ষা করছিলেন ও পাক-রূহ্ তাঁর উপরে ছিলেন।
26. আর পাক-রূহ্ দ্বারা তাঁর কাছে প্রকাশিত হয়েছিল যে, তিনি প্রভুর মসীহ্কে দেখতে না পেলে মৃত্যু দেখবেন না।
27. তিনি সেই রূহের আবেশে বায়তুল-মোকাদ্দসে আসলেন এবং শিশু ঈসার পিতা-মাতা যখন তাঁর বিষয়ে শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য তাঁকে ভিতরে আনলেন,
28. তখন তিনি তাঁকে কোলে নিলেন, আর আল্লাহ্র গৌরব করলেন ও বললেন,