4. বিচারকর্তা কিছুকাল পর্যন্ত সম্মত হল না; কিন্তু পরে মনে মনে বললো, যদিও আমি আল্লাহ্কে ভয় করি না, মানুষকেও মানি না,
5. তবুও এই বিধবা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে, এজন্য অন্যায় থেকে একে উদ্ধার করবো। তা নাহলে সে সব সময় এসে আমাকে জ্বালাতন করবে।
6. পরে প্রভু বললেন, শোন, ঐ অধার্মিক বিচারকর্তা কি বলে।
7. তবে যারা দিনরাত আল্লাহ্র কাছে কান্নাকাটি করে, আল্লাহ্ কি তাঁর সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করবেন না, যদিও তিনি তাঁদের বিষয়ে ধৈর্য ধরে আছেন?
8. আমি তোমাদেরকে বলছি, তিনি শীঘ্রই তাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করবেন। কিন্তু ইবনুল-ইনসান যখন আসবেন, তখন কি দুনিয়াতে ঈমান দেখতে পাবেন?
9. যারা নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখতো, মনে করতো যে, তারাই ধার্মিক এবং অন্য সকলকে হেয় জ্ঞান করতো, এমন কয়েক জনকে তিনি এই দৃষ্টান্তটি বললেন।
10. দুই ব্যক্তি মুনাজাত করার জন্য বায়তুল-মোকাদ্দসে গেল; এক জন ফরীশী আর এক জন কর-আদায়কারী।
11. ফরীশী দাঁড়িয়ে নিজে নিজে এরকম মুনাজাত করলো, হে আল্লাহ্, আমি তোমাকে শুকরিয়া জানাই যে, আমি অন্য সব লোকের মত জুলুমবাজ, অন্যায়কারী ও জেনাকারী নই কিংবা ঐ কর-আদায়কারীর মতও নই;
12. আমি সপ্তাহের মধ্যে দুই বার রোজা রাখি, সমস্ত আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ দান করি।
13. কিন্তু কর-আদায়কারী দূরে দাঁড়িয়ে বেহেশতের দিকে চোখ তুলতেও সাহস পেল না, বরং সে বুকে করাঘাত করতে করতে বললো, হে আল্লাহ্, আমার প্রতি, এই গুনাহ্গারের প্রতি রহম কর।
14. আমি তোমাদেরকে বলছি, এই ব্যক্তি ধার্মিক গণিত হয়ে নিজের বাড়িতে নেমে গেল, ঐ ব্যক্তি নয়; কেননা যে কেউ নিজেকে উঁচু করে, তাকে নত করা যাবে; কিন্তু যে নিজেকে নত করে, তাকে উঁচু করা যাবে।
15. আর লোকেরা তাঁদের ছোট শিশুদেরকেও তাঁর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে স্পর্শ করেন। সাহাবীরা তা দেখে তাদেরকে ভর্ৎসনা করতে লাগলেন।
16. কিন্তু ঈসা তাদেরকে কাছে ডাকলেন, বললেন, শিশুদেরকে আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না, কেননা আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।
17. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে কেউ শিশুর মত হয়ে আল্লাহ্র রাজ্য গ্রহণ না করে, সে কোন মতে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
18. এক জন নেতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, হে সৎ হুজুর, কি করলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হব?