16. কিন্তু ঈসা তাদেরকে কাছে ডাকলেন, বললেন, শিশুদেরকে আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না, কেননা আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।
17. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে কেউ শিশুর মত হয়ে আল্লাহ্র রাজ্য গ্রহণ না করে, সে কোন মতে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
18. এক জন নেতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, হে সৎ হুজুর, কি করলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হব?
19. ঈসা তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? এক জন ছাড়া সৎ আর কেউ নেই, তিনি আল্লাহ্।
20. তুমি হুকুমগুলো জান, “জেনা করো না, খুন করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, তোমার পিতা-মাতাকে সমাদর কোরো”।
21. সে বললো, বাল্যকাল থেকে এসব পালন করে আসছি।
22. এই কথা শুনে ঈসা তাকে বললেন, এখনও একটি বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে; তোমার যা কিছু আছে সমস্ত বিক্রি কর, আর দরিদ্রদেরকে বিতরণ কর, তাতে বেহেশতে ধন পাবে; আর এসো, আমার পশ্চাৎগামী হও।
23. কিন্তু এই কথা শুনে সে অতিশয় দুঃখিত হল, কারণ সে অতিশয় ধনবান ছিল।
24. তখন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করে ঈসা বললেন, যাদের ধন আছে, তাদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে প্রবেশ করা কেমন দুষ্কর!
25. বাস্তবিক আল্লাহ্র রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ করা সহজ।
26. যারা শুনলো, তারা বললো, তাহলে কে নাজাত পেতে পারে?
27. তিনি বললেন, যা মানুষের অসাধ্য, তা আল্লাহ্র সাধ্য।