4. আর যদি সে এক দিনের মধ্যে সাত বার তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে, আর সাত বার তোমার কাছে ফিরে এসে বলে, অনুতাপ করলাম, তবে তাকে মাফ করো।
5. আর প্রেরিতেরা প্রভুকে বললেন, আমাদের ঈমান বাড়িয়ে দিন।
6. প্রভু বললেন, একটি সর্ষেদানার মত ঈমান যদি তোমাদের থাকে, তবে ‘তুমি সমূলে উপড়ে গিয়ে সাগরে রোপিত হও’ এই কথা তুঁত গাছটিকে বললে গাছটি তোমাদের কথা মানবে।
7. আর তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যার গোলাম হাল বেয়ে কিংবা ভেড়া চরিয়ে ক্ষেত থেকে ভিতরে আসলে সে তাকে বলবে, ‘তুমি এখনই এসে খেতে বস’?
8. বরং তাকে কি বলবে না, ‘আমি কি খাব, তার আয়োজন কর এবং আমি যতক্ষণ ভোজন পান করি, ততক্ষণ কোমর বেঁধে আমার সেবা কর, তারপর তুমি ভোজন পান করবে’?
9. সেই গোলাম হুকুম পালন করলো বলে সে কি তাকে শুকরিয়া জানাবে?
10. সেইভাবে সমস্ত হুকুম পালন করলে পর তোমরাও বলো আমরা অযোগ্য গোলাম, যা করতে বাধ্য ছিলাম, তা-ই করলাম।
11. জেরুশালেমে যাবার সময়ে তিনি সামেরিয়া ও গালীল দেশের মধ্য দিয়ে গমন করলেন।
12. তিনি কোন গ্রামে প্রবেশ করছেন, এমন সময়ে দশ জন কুষ্ঠ রোগী তাঁর সম্মুখে পড়লো, তারা দূরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল,
13. ঈসা, প্রভু, আমাদেরকে করুণা করুন!
14. তাদেরকে দেখে তিনি বললেন, যাও, ইমামদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও। যেতে যেতে তারা পাক-পবিত্র হয়ে গেল।
15. তখন তাদের এক জন নিজেকে সুস্থ দেখে উচ্চরবে আল্লাহ্র গৌরব করতে করতে ফিরে আসল,
16. এবং ঈসার পায়ে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে শুকরিয়া জানাতে লাগল; সেই ব্যক্তি এক জন সামেরীয়।
17. জবাবে ঈসা বললেন, দশ জন কি পাক-পবিত্র হয় নি? তবে সেই নয় জন কোথায়?
18. আল্লাহ্র গৌরব করার জন্য ফিরে এসেছে, এই বিদেশী লোকটি ভিন্ন এমন কাউকেও কি পাওয়া গেল না?
19. পরে তিনি তাকে বললেন, উঠে চলে যাও, তোমার ঈমান তোমাকে সুস্থ করেছে।
20. ফরীশীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, আল্লাহ্র রাজ্য কখন আসবে? জবাবে তিনি তাদেরকে বললেন, আল্লাহ্র রাজ্য জাঁক-জমকের সঙ্গে আসে না;