22. পরে সেই গোলাম বললো, মালিক, আপনি যা হুকুম করেছিলেন, তা করা হয়েছে, আর এখনও স্থান আছে।
23. তখন মালিক সেই গোলামকে বললেন, বের হয়ে রাজপথে রাজপথে ও সরু পথগুলোতে যাও এবং আসার জন্য লোকদেরকে পীড়াপীড়ি কর, যেন আমার বাড়ি পরিপূর্ণ হয়।
24. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, ঐ দাওয়াতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এক জনও আমার ভোজের আস্বাদ পাবে না।
25. একবার অনেক লোক তার সঙ্গে যাচ্ছিল; তখন তিনি মুখ ফিরিয়ে তাদেরকে বললেন,
26. যদি কেউ আমার কাছে আসে, আর আপন পিতা-মাতা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে, ভাই-বোন, এমন কি নিজের প্রাণকেও অপ্রিয় জ্ঞান না করে, তবে সে আমার সাহাবী হতে পারে না।
27. যে কেউ নিজের ক্রুশ বহন না করে ও আমার পিছনে পিছনে না আসে, সে আমার সাহাবী হতে পারে না।
28. বাস্তবিক উচ্চগৃহ নির্মাণ করতে ইচ্ছা হলে কে তোমাদের মধ্যে আগে বসে ব্যয় হিসাব করে না দেখবে, সমাপ্ত করার সঙ্গতি তার আছে কি না?
29. কি জানি ভিত্তিমূল বসালে পর যদি সে সমাপ্ত করতে না পারে, তবে যত লোক তা দেখবে, সকলে তাকে বিদ্রূপ করতে আরম্ভ করবে,
30. বলবে, এই ব্যক্তি নির্মাণ করতে আরম্ভ করেছিল, কিন্তু সমাপ্ত করতে পারল না।
31. অথবা কোন্ বাদশাহ্ অন্য বাদশাহ্র সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাবার সময়ে আগে বসে বিবেচনা করবে না, যিনি বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে আমার বিরুদ্ধে আসছেন, আমি দশ হাজার নিয়ে কি তার মুখামুখি হতে পারি?
32. যদি না পারেন, তবে দুশমন দূরে থাকতে তিনি দূত প্রেরণ করে সন্ধি স্থাপন করতে চাইবেন।
33. ভাল, তেমনি তোমাদের মধ্যে যে কেউ নিজের সর্বস্ব ত্যাগ না করে, সে আমার সাহাবী হতে পারে না।
34. লবণ তো উত্তম; কিন্তু সেই লবণেরও যদি স্বাদ চলে গিয়ে থাকে, তবে তা কিসে আস্বাদযুক্ত করা যাবে?