10. কিন্তু তুমি যখন দাওয়াতপ্রাপ্ত হও, তখন নিম্নতম স্থানে গিয়ে বসবে; তাতে যে ব্যক্তি তোমাকে দাওয়াত করেছে, সে যখন আসবে, তোমাকে বলবে, বন্ধু, উচ্চতর স্থানে গিয়ে বস; তখন যারা তোমার সঙ্গে বসে আছে, সেই সবের সাক্ষাতে তোমার গৌরব হবে।
11. কেননা যে কেউ নিজেকে উঁচু করে, তাকে নত করা যাবে, আর যে কেউ নিজেকে নত করে, তাকে উঁচু করা যাবে।
12. আবার যে ব্যক্তি তাঁকে দাওয়াত করেছিল, তাকেও তিনি বললেন, তুমি যখন মধ্যাহ্ন ভোজ কিংবা রাত্রিকালীন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন তোমার বন্ধুদেরকে, বা তোমার ভাইদেরকে, বা তোমার জ্ঞাতিদেরকে কিংবা ধনী প্রতিবেশীদেরকে ডেকো না; কি জানি, তারাও তোমাকে পাল্টা দাওয়াত করবে, আর তুমি প্রতিদান পাবে।
13. কিন্তু তুমি যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদেরকে দাওয়াত করো;
14. তাতে তুমি ধন্য হবে, কেননা তোমাকে প্রতিদান দিতে তাদের কিছু নেই, তাই ধার্মিকদের পুনরুত্থানের সময়ে তুমি প্রতিদান পাবে।
15. এসব কথা শুনে যারা বসেছিল, তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, ধন্য সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহ্র রাজ্যে ভোজন করবে।
16. তিনি তাকে বললেন, কোন ব্যক্তি বড় একটি ভোজ প্রস্তুত করে অনেককে দাওয়াত করলেন।
17. পরে ভোজনের সময়ে তাঁর গোলাম দ্বারা দাওয়াতীদেরকে বলে পাঠালেন, এসো, এখন সকলই প্রস্তুত।
18. তখন তারা সকলেই একমত হয়ে অজুহাত দিতে লাগল। প্রথম জন তাকে বললো, আমি একখানি ক্ষেত ক্রয় করলাম, তা দেখতে না গেলে নয়; ফরিয়াদ করি, আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।
19. আর এক জন বললো, আমি পাঁচ জোড়া বলদ কিনলাম, তাদের পরীক্ষা করতে যাচ্ছি; ফরিয়াদ করি, আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।
20. আর এক জন বললো, আমি বিয়ে করলাম, এজন্য যেতে পারছি না।
21. পরে সে গোলাম এসে তার মালিককে এ সব বৃত্তান্ত জানালো। তখন সেই গৃহকর্তা ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর গোলামকে বললেন, শীঘ্র বের হয়ে নগরের পথে পথে ও গলিতে গলিতে যাও, দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদেরকে এখানে আন।