22. আর তিনি নগরে নগরে ও গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করে উপদেশ দিতে দিতে জেরুশালেমের দিকে গমন করছিলেন।
23. তখন এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, প্রভু, যারা নাজাত পাচ্ছে, তাদের সংখ্যা কি অল্প?
24. তিনি তাদেরকে বললেন, সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে প্রাণপণ কর; কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, অনেকে প্রবেশ করতে চেষ্টা করবে, কিন্তু পারবে না।
25. গৃহকর্তা উঠে দরজা বন্ধ করলে পর তোমরা বাইরে দাঁড়িয়ে দরজায় আঘাত করতে আরম্ভ করবে, বলবে, প্রভু, আমাদেরকে দরজা খুলে দিন; আর জবাবে তিনি তোমাদেরকে বলবেন, আমি জানি না, তোমরা কোথাকার লোক;
26. তখন তোমরা বলতে আরম্ভ করবে, আমরা আপনার সাক্ষাতে ভোজন পান করেছি এবং আমাদের পথে পথে আপনি উপদেশ দিয়েছেন।
27. কিন্তু তিনি বলবেন, তোমাদেরকে বলছি, আমি জানি না, তোমরা কোথাকার লোক; হে দুর্বৃত্তরা, আমার কাছ থেকে দূর হও।
28. সেই স্থানে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষবে; তখন তোমরা দেখবে, ইব্রাহিম, ইস্হাক ও ইয়াকুব এবং নবীরা সকলে আল্লাহ্র রাজ্যে রয়েছেন, আর তোমাদেরকে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
29. আর পূর্ব ও পশ্চিম থেকে এবং উত্তর ও দক্ষিণ থেকে লোকেরা এসে আল্লাহ্র রাজ্যে বসবে।
30. আর দেখ, যারা শেষের, এমন কোন কোন লোক প্রথম হবে এবং যারা প্রথম, এমন কোন কোন লোক শেষে পড়বে।
31. সেই সময়ে কয়েক জন ফরীশী কাছে এসে তাঁকে বললো, বের হও, এই স্থান থেকে চলে যাও; কেননা হেরোদ তোমাকে হত্যা করতে চাইছেন।
32. তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা গিয়ে সেই শিয়ালকে বল, দেখ, আজ এবং আগামীকাল আমি বদ-রূহ্ ছাড়াচ্ছি ও রোগীদের সুস্থ করছি এবং তৃতীয় দিনে আমার কাজ শেষ করবো।
33. যা হোক, আজ, আগামীকাল ও পরশু আমাকে গমন করতে হবে; কারণ এমন হতে পারে না যে, জেরুশালেমের বাইরে কোন নবী বিনষ্ট হয়।
34. জেরুশালেম, জেরুশালেম, তুমি নবীদেরকে হত্যা করে থাক ও তোমার কাছে যারা প্রেরিত হয়, তাদেরকে পাথর মেরে থাক! পাখির মা যেমন তার বাচ্চাদেরকে পাখার নিচে একত্র করে, আমি কত বার তেমনি তোমার সন্তানদেরকে একত্র করতে ইচ্ছা করেছি, কিন্তু তোমরা সম্মত হলে না।
35. দেখ, তোমাদের সেই বাড়ি তোমাদের জন্য উৎসন্ন হয়ে পড়ে রইলো। আর আমি তোমাদেরকে বলছি, যে সময় পর্যন্ত তোমরা না বলবে, “ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন,” সেই সময় পর্যন্ত তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না।