17. তাতে সে মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, কি করি?
18. আমার শস্য রাখার স্থান নেই। পরে বললো, এরকম করবো, আমার গোলাঘরগুলো ভেঙ্গে বড় বড় গোলাঘর তৈরি করবো এবং তার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার দ্রব্য রাখবো।
19. আর আপন প্রাণকে বলবো, প্রাণ, বহু বছরের জন্য তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।
20. কিন্তু আল্লাহ্ তাকে বললেন, হে নির্বোধ, আজ রাতেই তোমার প্রাণ তোমার কাছ থেকে দাবি করে নেওয়া যাবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করলে, এসব কার হবে?
21. যে কেউ নিজের জন্য ধন সঞ্চয় করে কিন্তু আল্লাহ্র উদ্দেশে ধনবান নয়, সে এই রকম।
22. পরে তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, এই জন্য আমি তোমাদেরকে বলছি, ‘কি ভোজন করবো’ বলে প্রাণের বিষয়ে, কিংবা ‘কি পরবো’ বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না।
23. কেননা খাদ্য থেকে প্রাণ ও কাপড় থেকে শরীর বড় বিষয়।
24. কাকগুলোর বিষয় চিন্তা কর; তারা বুনেও না কাটেও না; তাদের ভাণ্ডারও নেই, গোলাঘরও নেই; আর আল্লাহ্ তাদেরকে আহার দিয়ে থাকেন;
25. পাখিগুলোর চেয়ে তোমরা কত বেশি শ্রেষ্ঠ! আর তোমাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা করে কে নিজের বয়স এক ঘণ্টা মাত্র বৃদ্ধি করতে পারে?
26. অতএব তোমরা অতি ছোট কাজও যদি করতে না পার, তবে অন্য অন্য বিষয়ে কেন চিন্তা কর?
27. ক্ষেতের ফুলের বিষয় বিবেচনা কর, সেগুলো কেমন বাড়ে; সেগুলো কোন পরিশ্রম করে না, সুতাও কাটে না, তবুও আমি তোমাদেরকে বলছি, সোলায়মান তাঁর সমস্ত জাঁক্জমকের মধ্যে থেকেও এর একটির মত সুসজ্জিত ছিলেন না।
28. ভাল, ক্ষেতের যে ঘাস আজ আছে ও আগামীকাল চুলায় ফেলে দেওয়া হবে, তা যদি আল্লাহ্ এভাবে সাজিয়ে থাকেন, তবে হে অল্পবিশ্বাসীরা, তোমাদেরকে কত বেশি নিশ্চয় সাজাবেন!
29. আর, কি ভোজন করবে, কি পান করবে, এই বিষয়ে তোমরা সচেষ্ট হয়ো না এবং উদ্ধিগ্ন হয়ো না;
30. কেননা দুনিয়ার জাতিরা এসব বিষয়ে সচেষ্ট; কিন্তু তোমাদের পিতা জানেন যে, এসব দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে।
31. তোমরা বরং তাঁর রাজ্যের বিষয়ে সচেষ্ট হও, তা হলে এই সকলও তোমাদেরকে দেওয়া যাবে।