12. কেননা কি কি বলা উচিত, তা পাক-রূহ্ সেই সময়ে তোমাদেরকে শিক্ষা দেবেন।
13. পরে লোকদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, হুজুর, আমার ভাইকে বলুন, যেন পৈতৃক ধন আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়।
14. কিন্তু তিনি তাকে বললেন, বন্ধু, তোমাদের উপরে বিচারকর্তা বা বিভাগকর্তা করে আমাকে কে নিযুক্ত করেছে?
15. পরে তিনি তাদেরকে বললেন, সাবধান, সমস্ত রকম লোভ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করো, কেননা উপ্চে পড়লেও মানুষের সম্পত্তিতে তার জীবন হয় না।
16. আর তিনি তাদেরকে এই দৃষ্টান্তটি বললেন, এক জন ধনবানের ভূমিতে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হয়েছিল।
17. তাতে সে মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, কি করি?
18. আমার শস্য রাখার স্থান নেই। পরে বললো, এরকম করবো, আমার গোলাঘরগুলো ভেঙ্গে বড় বড় গোলাঘর তৈরি করবো এবং তার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার দ্রব্য রাখবো।
19. আর আপন প্রাণকে বলবো, প্রাণ, বহু বছরের জন্য তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।
20. কিন্তু আল্লাহ্ তাকে বললেন, হে নির্বোধ, আজ রাতেই তোমার প্রাণ তোমার কাছ থেকে দাবি করে নেওয়া যাবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করলে, এসব কার হবে?
21. যে কেউ নিজের জন্য ধন সঞ্চয় করে কিন্তু আল্লাহ্র উদ্দেশে ধনবান নয়, সে এই রকম।
22. পরে তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, এই জন্য আমি তোমাদেরকে বলছি, ‘কি ভোজন করবো’ বলে প্রাণের বিষয়ে, কিংবা ‘কি পরবো’ বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না।
23. কেননা খাদ্য থেকে প্রাণ ও কাপড় থেকে শরীর বড় বিষয়।
24. কাকগুলোর বিষয় চিন্তা কর; তারা বুনেও না কাটেও না; তাদের ভাণ্ডারও নেই, গোলাঘরও নেই; আর আল্লাহ্ তাদেরকে আহার দিয়ে থাকেন;
25. পাখিগুলোর চেয়ে তোমরা কত বেশি শ্রেষ্ঠ! আর তোমাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা করে কে নিজের বয়স এক ঘণ্টা মাত্র বৃদ্ধি করতে পারে?
26. অতএব তোমরা অতি ছোট কাজও যদি করতে না পার, তবে অন্য অন্য বিষয়ে কেন চিন্তা কর?