45. তখন আলেমদের এক জন জবাবে তাঁকে বললো, হুজুর, এই কথা বলে আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।
46. তিনি বললেন, আলেমেরা, ধিক্ তোমাদেরকেও, কেননা তোমরা মানুষের উপরে দুর্বহ বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাক, কিন্তু নিজেরা একটি আঙ্গুল দিয়ে সেসব বোঝা স্পর্শ কর না।
47. ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা নবীদের কবর গেঁথে থাক, আর তোমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁদেরকে খুন করেছিল।
48. সুতরাং তোমরা সাক্ষী হচ্ছ এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজের অনুমোদন করছো; কেননা তারা তাঁদেরকে খুন করেছিল, আর তোমরা তাঁদের কবর গেঁথে থাক।
49. এই কারণ আল্লাহ্র প্রজ্ঞাও বললেন, আমি তাদের কাছে নবী ও প্রেরিতদেরকে প্রেরণ করবো, আর তাদের মধ্য থেকে তারা কাউকে কাউকে খুন করবে ও নির্যাতন করবে,
50. যেন দুনিয়া পত্তনের সময় থেকে যত নবীর রক্তপাত হয়েছে, তার প্রতিশোধ এই কালের লোকদের কাছ থেকে নেওয়া যায়—
51. হাবিলের রক্ত থেকে সেই জাকারিয়ার রক্ত পর্যন্ত যিনি কোরবানগাহ্ ও বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যস্থানে নিহত হয়েছিলেন— হ্যাঁ, আমি তোমাদেরকে বলছি, এই কালের লোকদের কাছ থেকে তার প্রতিশোধ নেওয়া যাবে।
52. আলেমেরা, ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা জ্ঞানের চাবি হরণ করে নিয়েছ; নিজেরা প্রবেশ করলে না এবং যারা প্রবেশ করছিল, তাদেরকেও বাধা দিলে।
53. তিনি সেই স্থান থেকে বের হয়ে আসলে আলেম ও ফরীশীরা তাঁকে অত্যন্ত পীড়াপীড়ি করতে ও নানা বিষয়ে কথা বলাবার জন্য উত্তেজিত করতে লাগল,
54. তাঁর মুখের কথায় তাঁকে ফাঁদে ফেলবার জন্য অপেক্ষা করে রইলো।