35. অতএব দেখো, তোমার অন্তরে যে আলো আছে, তা অন্ধকার কি না।
36. বাস্তবিক, তোমার সমস্ত শরীর যদি আলোতে পূর্ণ হয়, কোনও অংশ অন্ধকারময় না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজের তেজে তোমাকে আলো দান করে, তেমনি তোমার শরীর সমপূর্ণভাবে আলোতে পূর্ণ হবে।
37. তিনি কথা বলছেন এমন সময়ে এক জন ফরীশী তাঁকে ভোজনের দাওয়াত করলো; আর তিনি ভিতরে গিয়ে ভোজনে বসলেন।
38. ফরীশী দেখে আশ্চর্য জ্ঞান করলো যে, ভোজনের আগে তিনি গোসল করেন নি।
39. কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তোমরা ফরীশীরা তো পানপাত্রের ও ভোজনপাত্রের বাইরের দিকটা পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও নাফরমানীতে ভরা।
40. নির্বোধেরা, যিনি বাইরের ভাগ তৈরি করেছেন, তিনি কি ভিতরের ভাগও তৈরি করেন নি?
41. বরং ভিতরে যা যা আছে, তা দান কর, আর দেখ, তোমাদের পক্ষে সকলই পাক-পবিত্র।
42. কিন্তু ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা পুদিনা, তেজপাতা ও সকল প্রকার শাকের দশ ভাগের এক ভাগ দান করে থাক, আর ন্যায়বিচার ও আল্লাহ্-প্রেম উপেক্ষা করে থাক; কিন্তু এসব পালন করা এবং ঐ সমস্ত পরিত্যাগ না করা তোমাদের উচিত ছিল।
43. ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা মজলিস-খানায় প্রধান আসন ও হাট বাজারে লোকদের সালাম পেতে ভালবাস।
44. ধিক্ তোমাদেরকে, কারণ তোমরা এমন গুপ্ত কবরের মত, যার উপর দিয়ে লোকে না জেনে যাতায়াত করে।
45. তখন আলেমদের এক জন জবাবে তাঁকে বললো, হুজুর, এই কথা বলে আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।
46. তিনি বললেন, আলেমেরা, ধিক্ তোমাদেরকেও, কেননা তোমরা মানুষের উপরে দুর্বহ বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাক, কিন্তু নিজেরা একটি আঙ্গুল দিয়ে সেসব বোঝা স্পর্শ কর না।
47. ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা নবীদের কবর গেঁথে থাক, আর তোমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁদেরকে খুন করেছিল।
48. সুতরাং তোমরা সাক্ষী হচ্ছ এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজের অনুমোদন করছো; কেননা তারা তাঁদেরকে খুন করেছিল, আর তোমরা তাঁদের কবর গেঁথে থাক।
49. এই কারণ আল্লাহ্র প্রজ্ঞাও বললেন, আমি তাদের কাছে নবী ও প্রেরিতদেরকে প্রেরণ করবো, আর তাদের মধ্য থেকে তারা কাউকে কাউকে খুন করবে ও নির্যাতন করবে,
50. যেন দুনিয়া পত্তনের সময় থেকে যত নবীর রক্তপাত হয়েছে, তার প্রতিশোধ এই কালের লোকদের কাছ থেকে নেওয়া যায়—
51. হাবিলের রক্ত থেকে সেই জাকারিয়ার রক্ত পর্যন্ত যিনি কোরবানগাহ্ ও বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যস্থানে নিহত হয়েছিলেন— হ্যাঁ, আমি তোমাদেরকে বলছি, এই কালের লোকদের কাছ থেকে তার প্রতিশোধ নেওয়া যাবে।
52. আলেমেরা, ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা জ্ঞানের চাবি হরণ করে নিয়েছ; নিজেরা প্রবেশ করলে না এবং যারা প্রবেশ করছিল, তাদেরকেও বাধা দিলে।
53. তিনি সেই স্থান থেকে বের হয়ে আসলে আলেম ও ফরীশীরা তাঁকে অত্যন্ত পীড়াপীড়ি করতে ও নানা বিষয়ে কথা বলাবার জন্য উত্তেজিত করতে লাগল,
54. তাঁর মুখের কথায় তাঁকে ফাঁদে ফেলবার জন্য অপেক্ষা করে রইলো।