27. তিনি এসব কথা বলছেন, এমন সময়ে ভিড়ের মধ্য থেকে কোন একটি স্ত্রীলোক চিৎকার করে তাঁকে বললো, ধন্য সেই গর্ভ, যা আপনাকে ধারণ করেছিল, আর সেই স্তন, যার দুগ্ধ আপনি পান করেছিলেন।
28. তিনি বললেন, কিন্তু এর চেয়ে বরং ধন্য তারাই, যারা আল্লাহ্র কালাম শোনে ও তা পালন করে।
29. পরে তাঁর কাছে আরও অনেক লোকের জমায়েত হতে থাকলে তিনি বলতে লাগলেন, এই কালের লোকেরা দুষ্ট। এরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু ইউনুসের চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাদেরকে দেওয়া যাবে না।
30. কারণ ইউনুস যেমন নিনেভের লোকদের কাছে চিহ্নস্বরূপ হয়েছিলেন, তেমনি ইবনুল-ইনসানও এই কালের লোকদের কাছে চিহ্ন হবেন।
31. বিচারে সময় দক্ষিণ দেশের রাণী এই কালের লোকদের সঙ্গে উঠে এদেরকে দোষী করবেন, কেননা সোলায়মানের জ্ঞানের কথা শুনবার জন্য তিনি দুনিয়ার প্রান্ত থেকে এসেছিলেন; আর দেখ, সোলায়মানের চেয়েও মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
32. নিনেভের লোকেরা বিচারের সময়ে এই কালের লোকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এদেরকে দোষী করবে; কেননা তারা ইউনুসের তবলিগের ফলে মন ফিরিয়েছিল, আর দেখ, ইউনুস থেকে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
33. প্রদীপ জ্বেলে কেউ গুপ্ত কুঠরীতে কিংবা কাঠার নিচে রাখে না, কিন্তু প্রদীপ-আসনের উপরেই রাখে, যেন যারা ভিতরে যায় তারা আলো দেখতে পায়।
34. তোমার চোখই শরীরের প্রদীপ; তোমার চোখ যখন সরল হয়, তখন তোমার সমস্ত শরীরও আলোতে পূর্ণ হয়; কিন্তু চোখ মন্দ হলে তোমার শরীরও অন্ধকারে পূর্ণ হয়।
35. অতএব দেখো, তোমার অন্তরে যে আলো আছে, তা অন্ধকার কি না।
36. বাস্তবিক, তোমার সমস্ত শরীর যদি আলোতে পূর্ণ হয়, কোনও অংশ অন্ধকারময় না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজের তেজে তোমাকে আলো দান করে, তেমনি তোমার শরীর সমপূর্ণভাবে আলোতে পূর্ণ হবে।
37. তিনি কথা বলছেন এমন সময়ে এক জন ফরীশী তাঁকে ভোজনের দাওয়াত করলো; আর তিনি ভিতরে গিয়ে ভোজনে বসলেন।
38. ফরীশী দেখে আশ্চর্য জ্ঞান করলো যে, ভোজনের আগে তিনি গোসল করেন নি।
39. কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তোমরা ফরীশীরা তো পানপাত্রের ও ভোজনপাত্রের বাইরের দিকটা পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও নাফরমানীতে ভরা।
40. নির্বোধেরা, যিনি বাইরের ভাগ তৈরি করেছেন, তিনি কি ভিতরের ভাগও তৈরি করেন নি?