9. আর সেখানকার অসুস্থদেরকে সুস্থ করো এবং তাদেরকে বলো, আল্লাহ্র রাজ্য তোমাদের সন্নিকট হল।
10. কিন্তু তোমরা যে কোন নগরে প্রবেশ কর, লোকেরা যদি তোমাদেরকে গ্রহণ না করে, তবে বের হয়ে সেই নগরের পথে পথে গিয়ে এই কথা বলো,
11. তোমাদের নগরের যে ধূলা আমাদের পায়ে লেগেছে, তাও তোমাদের বিরুদ্ধে ঝেড়ে ফেললাম; তবুও এই কথা জেনো যে, আল্লাহ্র রাজ্য সন্নিকট হল।
12. আমি তোমাদেরকে বলছি, সেদিন সেই নগরের দশা থেকে বরং সাদুমের দশা সহনীয় হবে।
13. কোরাসীন, ধিক্ তোমাকে! বৈৎসৈদা, ধিক্ তোমাকে! কেননা তোমাদের মধ্যে যেসব কুদরতি-কাজ করা হয়েছে, সেসব যদি টায়ার ও সীডনে করা হত, তবে অনেক দিন আগে তারা চট পরে ভস্মে বসে তওবা করতো।
14. কিন্তু বিচারের দিনে তোমাদের দশা থেকে বরং টায়ার ও সিডনের দশা সহনীয় হবে।
15. আর হে কফরনাহূম, তুমি না কি আসমান পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তুমি পাতাল পর্যন্ত নেমে যাবে।
16. যে তোমাদেরকে মানে, সে আমাকেই মানে এবং যে তোমাদেরকে অগ্রাহ্য করে, সে আমাকেই অগ্রাহ্য করে; আর যে আমাকে অগ্রাহ্য করে, সে তাঁকেই অগ্রাহ্য করে, যিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন।
17. পরে সেই সত্তর জন আনন্দে ফিরে এসে বললো, প্রভু, আপনার নামে বদ-রূহ্রাও আমাদের বশীভূত হয়।
18. তিনি তাদেরকে বললেন, আমি শয়তানকে বিদ্যুতের মত বেহেশত থেকে পড়তে দেখছি।
19. আমি তোমাদেরকে সাপ ও বৃশ্চিক পদতলে দলিত করার এবং দুশমনের সমস্ত শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দিয়েছি। কিছুতেই কোন মতে তোমাদের ক্ষতি করবে না;
20. তবুও রূহ্রা যে তোমাদের বশীভূত হয়, এতে আনন্দ করো না; কিন্তু তোমাদের নাম যে বেহেশতে লেখা আছে, এতেই আনন্দ কর।
21. সেই সময়ে তিনি পাক-রূহে উল্লসিত হলেন ও বললেন, হে আমার পিতা, বেহেশতের ও দুনিয়ার প্রভু, আমি তোমাকে শুকরিয়া জানাচ্ছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের থেকে এসব বিষয় গুপ্ত রেখে শিশুদের কাছে এসব প্রকাশ করেছ। হ্যাঁ, পিতা, কেননা তা তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হল।
22. আমার পিতা সকলই আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। পুত্র কে, তা কেউ জানে না, কেবল পিতা জানেন; আর পিতা কে, তা কেউ জানে না, কেবল পুত্র জানেন, আর পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন, সে জানে।
23. পরে তিনি সাহাবীদের প্রতি ফিরে বিরলে বললেন, ধন্য সেসব লোক, তোমরা যা যা দেখছো, যারা তা দেখতে পায়।