24. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা যা যা দেখেছো, তা অনেক নবী ও বাদশাহ্ দেখতে বাসনা করেও দেখতে পান নি। তোমরা যা যা শুনছো, তা তাঁরা শুনতে বাসনা করেও শুনতে পান নি।
25. আর দেখ, এক জন আলেম উঠে তাঁর পরীক্ষা করে বললো, হুজুর, কি করলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হব?
26. তিনি তাকে বললেন, শরীয়তে কি লেখা আছে? কিরূপ পাঠ করছো?
27. সে জবাবে বললো, “তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমার আল্লাহ্ প্রভুকে মহব্বত করবে এবং তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।”
28. তিনি তাকে বললেন, যথার্থ উত্তর করলে; তা-ই কর, তাতে জীবন পাবে।
29. কিন্তু সে নিজেকে নির্দোষ দেখাবার ইচ্ছায় ঈসাকে বললো, ভাল, আমার প্রতিবেশী কে?
30. এই কথা নিয়ে ঈসা বললেন, এক ব্যক্তি জেরুশালেম থেকে জেরিকোতে নেমে যাচ্ছিল, এমন সময়ে দস্যুদলের হাতে পড়লো। দস্যুরা তার কাপড় খুলে নিল এবং তাকে আঘাত করে আধমরা অবস্থায় ফেলে চলে গেল।
31. ঘটনাক্রমে এক জন ইমাম সেই পথ দিয়ে নেমে যাচ্ছিল; সে তাকে দেখে এক পাশ দিয়ে চলে গেল।
32. পরে সেভাবে এক জন লেবীয়ও সেই স্থানে এসে দেখে এক পাশ দিয়ে চলে গেল।
33. কিন্তু এক জন সামেরীয় সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে তার কাছে আসল;
34. আর তাকে দেখে করুণাবিষ্ট হল এবং কাছে এসে তেল ও আঙ্গুর-রস ঢেলে দিয়ে তার ক্ষতগুলো বেঁধে দিল; পরে তার নিজের পশুর উপরে তাকে বসিয়ে একটি পান্থশালায় নিয়ে গিয়ে তার সেবা-যত্ন করলো।
35. পরের দিন দু’টি সিকি বের করে পান্থশালার মালিককে দিয়ে বললো, এই ব্যক্তির প্রতি যত্ন করো, বেশি যা কিছু ব্যয় হয়, আমি যখন ফিরে আসি, তখন পরিশোধ করবো।
36. তোমার কেমন মনে হয়, এই তিন জনের মধ্যে কে ঐ দস্যুদের হাতে পড়া ব্যক্তির প্রতিবেশী হয়ে উঠলো?
37. সে বললো, যে ব্যক্তি তার প্রতি করুণা করলো, সেই। তখন ঈসা তাকে বললেন, যাও, তুমিও সেরকম কর।
38. এর পরে তাঁরা যখন যাচ্ছিলেন তখন তিনি একটি গ্রামে প্রবেশ করলেন, আর মার্থা নামে একটি স্ত্রীলোক তার বাড়িতে তাঁর মেহমানদারী করলেন।
39. মরিয়ম নামে তাঁর একটি বোন ছিলেন, তিনি প্রভুর পায়ের কাছে বসে তাঁর কথা শুনতে লাগলেন।
40. কিন্তু মার্থা পরিচর্যার বিষয়ে বেশি ব্যতিব্যস্ত ছিলেন; আর তিনি কাছে এসে বললেন, প্রভু, আপনি কি কিছু মনে করছেন না যে, আমার বোন পরিচর্যার ভার একা আমার উপরে ফেলে রেখেছে? অতএব ওকে বলে দিন যেন আমার সাহায্য করে।