7. তাঁদের কোন সন্তান ছিল না, কেননা এলিজাবেত বন্ধ্যা ছিলেন এবং দু’জনেরই অধিক বয়স হয়েছিল।
8. একদিন যখন জাকারিয়া নিজের পালা অনুসারে আল্লাহ্র সাক্ষাতে ইমামীয় দায়িত্ব পালন করছিলেন,
9. তখন ইমামীয় কাজের প্রথানুসারে গুলিবাঁট ক্রমে তাঁকে প্রভুর পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে ধূপ জ্বালাতে হল।
10. সেই ধূপ জ্বালাবার সময়ে সমস্ত লোক বাইরে থেকে মুনাজাত করছিল।
11. তখন প্রভুর এক জন ফেরেশতা ধূপ-গাহের ডান পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে দর্শন দিলেন।
12. তাঁকে দেখে জাকারিয়ার মন অস্থির হয়ে উঠলো, ভীষণ ভয় তাঁকে পেয়ে বসলো।
13. কিন্তু ফেরেশতা তাঁকে বললেন, জাকারিয়া, ভয় করো না, কেননা তোমার ফরিয়াদ গ্রাহ্য হয়েছে, তোমার স্ত্রী এলিজাবেত তোমার জন্য পুত্র প্রসব করবেন ও তুমি তার নাম ইয়াহিয়া রাখবে।
14. আর তোমার আনন্দ ও উল্লাস হবে এবং তার জন্মে অনেকে আনন্দিত হবে।
15. কারণ সে প্রভুর সম্মুখে মহান হবে এবং আঙ্গুর-রস বা সুরা কিছুই পান করবে না; আর সে মায়ের গর্ভ থেকেই পাক-রূহে পরিপূর্ণ হবে;
16. এবং বনি-ইসরাইলদের মধ্যে অনেককে তাদের আল্লাহ্ মালিকের প্রতি ফিরাবে।