63. তিনি একখানি লিপিফলক চেয়ে নিয়ে লিখলেন, এর নাম ইয়াহিয়া। তাতে সকলে আশ্চর্য জ্ঞান করলো।
64. আর তখনই তাঁর মুখ ও তাঁর জিহ্বা খুলে গেল, আর তিনি কথা বললেন, আল্লাহ্র প্রশংসা করতে লাগলেন।
65. এতে চারদিকের প্রতিবেশীরা সকলে ভয় পেল, আর এহুদিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলের সর্বত্র লোকে এ সব কথা বলাবলি করতে লাগল।
66. আর যত লোক এই কথা শুনলো, সকলে তা মনে গেঁথে রেখে বলতে লাগল, এই বালকটি তবে কি হবে? কারণ প্রভুর হাত তাঁর সহবর্তী ছিল।
67. তখন তার পিতা জাকারিয়া পাক-রূহে পরিপূর্ণ হলেন এবং ভবিষ্যদ্বাণী বললেন; তিনি বললেন,
68. ইসরাইলের আল্লাহ্ প্রভু ধন্য হোন;কেননা তিনি তত্ত্বাবধান করেছেন,তাঁর লোকদের জন্য মুক্তি সাধনকরেছেন,
69. আর আমাদের জন্য তাঁর গোলামদাউদের কুলে নাজাতের এক শৃঙ্গউঠিয়েছেন,
70. —যেমন তিনি পুরাকাল থেকে তাঁরসেই পবিত্র নবীদের মুখ দ্বারা বলেএসেছেন—
71. আমাদের দুশমনদের হাত থেকে ওযারা আমাদেরকে ঘৃণা করে,তাদের সকলের হাত থেকে রক্ষাকরেছেন।
72. আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি করুণাকরার জন্য,তাঁর পবিত্র নিয়ম স্মরণ করার জন্য।
73. এই সেই কসম, যা তিনি আমাদেরপূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের কাছে শপথকরেছিলেন,
74. আমাদেরকে এই বর দেবার জন্যযে আমরা দুশমনদের হাতথেকে নিস্তার পেয়ে,নির্ভয়ে পবিত্রভাবে ও ধার্মিকতায়তাঁর এবাদত করতে পারবো।
75. তাঁর সাক্ষাতে সারা জীবন করতেপারবো।
76. আর, হে বালক, তুমি সর্বশক্তিমানেরনবী বলে আখ্যাত হবে,কারণ তুমি প্রভুর সম্মুখে চলবে,তাঁর পথ প্রস্তুত করার জন্য;