26. পরে ষষ্ঠ মাসে জিবরাইল ফেরেশতা আল্লাহ্র কাছ থেকে গালীল দেশের নাসরত নামক নগরে এক জন কুমারীর কাছে প্রেরিত হলেন,
27. তিনি দাউদ-কুলের ইউসুফ নামক এক জন পুরুষের বাগ্দত্তা ছিলেন; সেই কুমারীর নাম মরিয়ম।
28. ফেরেশতা গৃহের মধ্যে তাঁর কাছে এসে বললেন,আস্সালামো আলাইকুম!তুমি মহা অনুগ্রহ লাভ করেছ;প্রভু তোমার সহবর্তী।
29. কিন্তু তিনি সেই কথায় ভীষণ অস্থির হয়ে উঠলেন, আর মনে মনে ভাবতে লাগলেন, এ কেমন সালাম?
30. ফেরেশতা তাঁকে বললেন, মরিয়ম, ভয় করো না, কেননা তুমি আল্লাহ্র কাছ থেকে রহমত লাভ করেছ।
31. আর দেখ, তুমি গর্ভবতী হয়ে পুত্র প্রসব করবে ও তাঁর নাম ঈসা রাখবে।
32. তিনি মহান হবেন, আর তাঁকে ইবনুল্লাহ্ বলা হবে; আর প্রভু আল্লাহ্ তাঁর পিতা দাউদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন;
33. তিনি ইয়াকুব-কুলের উপরে যুগে যুগে রাজত্ব করবেন ও তাঁর রাজ্যের শেষ হবে না।
34. তখন মরিয়ম ফেরেশতাকে বললেন, এটি কিভাবে হবে, কেননা আমি তো এক জন কুমারী?
35. ফেরেশতা জবাবে তাঁকে বললেন, পাক-রূহ্ তোমার উপরে আসবেন এবং সর্বশক্তিমানের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করবে; এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবেন, তাঁকে ইবনুল্লাহ্ বলা হবে।
36. আর দেখ, তোমার জ্ঞাতি যে এলিজাবেত, তিনিও বৃদ্ধ বয়সে পুত্র-সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন; লোকে যাঁকে বন্ধ্যা বলতো, কিন্তু এখন তাঁর ছয় মাস চলছে।
37. কেননা আল্লাহ্র কোন কালাম শক্তিহীন হবে না।
38. তখন মরিয়ম বললেন, দেখুন, আমি প্রভুর বাঁদী; আপনার কথা অনুসারে আমার প্রতি ঘটুক। পরে ফেরেশতা তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
39. সেই সময়ে মরিয়ম উঠে তাড়াতাড়ি পাহাড়ী অঞ্চলে এহুদার একটি নগরে গেলেন,