6. কিন্তু আল্লাহ্র কালাম যে বিফল হয়ে পড়েছে, এমন নয়; কারণ যারা ইসরাইল জাতির মধ্যে জন্মেছে, তারা সকলেই যে সত্যিকারের ইসরাইলীয় তা নয়;
7. আর ইব্রাহিমের বংশজাত বলে তারা যে সকলেই তাঁর সত্যিকারের সন্তান তাও নয়, কিন্তু “ইস্হাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হবে।”
8. এর অর্থ এই, যারা গুনাহ্-স্বভাবের সন্তান, তারা যে আল্লাহ্র সন্তান, এমন নয়, কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানেরাই ইব্রাহিমের বংশ বলে পরিগণিত হয়।
9. কেননা প্রতিজ্ঞায় এই কথা বলা হয়েছে— “এই ঋতুতেই আমি আসব, তখন সারার একটি পুত্র হবে।”
10. কেবল তা নয়, কিন্তু আবার রেবেকা এক ব্যক্তি হতে— আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্হাক হতে গর্ভবতী হলে পর,
11. যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নি এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নি, তখনও যেন আল্লাহ্র নির্বাচনের উদ্দেশ্য চলতে থাকে এবং তা কর্ম হেতু নয়, কিন্তু যিনি আহ্বান করেছেন তাঁর ইচ্ছা হেতু,
12. তাঁকে বলা হয়েছিল, “জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের গোলাম হবে”
13. যেমন লেখা আছে, “আমি ইয়াকুবকে মহব্বত করেছি, কিন্তু ইস্কে অগ্রাহ্য করেছি।”
14. তবে আমরা কি বলবো? আল্লাহ্ কি অন্যায় করেছেন? তা নিশ্চয় না।
15. কারণ তিনি মূসাকে বলেন, “আমি যাকে করুণা করি, তাকে করুণা করবো; ও যার প্রতি মমতা করি, তার প্রতি মমতা করবো।”
16. অতএব এটা কোন মানুষের ইচ্ছা বা চেষ্টার ফলে হয় না, কিন্তু করুণাময় আল্লাহ্ থেকে হয়।
17. কেননা পাক-কিতাব ফেরাউনকে বলে, “আমি এজন্যই তোমাকে বাদশাহ্ করেছি, যেন তোমার মধ্য দিয়ে আমার পরাক্রম দেখাই, আর যেন সারা দুনিয়াতে আমার নাম ঘোষিত হয়।”