18. অতএব তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে করুণা করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার অন্তর কঠিন করেন।
19. এতে তুমি আমাকে বলবে, তবে তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাঁর ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করে?
20. হে মানুষ, বরং তুমি কে যে আল্লাহ্র প্রতিবাদ করছো? নির্মিত বস্তু কি নির্মাতাকে বলতে পারে, আমাকে এরকম করে কেন তৈরি করলে?
21. কিংবা কাদার উপরে কুমারের কি এমন অধিকার নেই যে, একই মাটির তাল থেকে একটি সমাদরের পাত্র, আর একটা অনাদরের পাত্র গড়তে পারে?
22. আর তাতেই বা কি— যদি আল্লাহ্ তাঁর গজব দেখাবার ও তাঁর পরাক্রম জানবার ইচ্ছা করে বিনাশের জন্য নির্দিষ্ট গজবের পাত্রদের প্রতি বিপুল সহিষ্ণুতায় ধৈর্য ধরে থাকেন?
23. তিনি এজন্য তা করে থাকেন যেন সেই করুণার পাত্রদেরকে তাঁর মহিমা-ধন জানিয়ে দিতে পারেন, যাদেরকে মহিমার জন্য আগে প্রস্তুত করেছেন,
24. আর যাদেরকে আহ্বান করেছেন, কেবল ইহুদীদের মধ্য থেকে নয়, অ-ইহুদীদের মধ্য থেকে আমাদেরকেই করেছেন।
25. যেমন তিনি হোসিয়ার কিতাবে বলেন, “যারা আমার লোক নয়, তাদেরকে আমি নিজের লোক বলে ডাকব এবং যে প্রিয়তমা ছিল না তাকে প্রিয়তমা বলে ডাকব।
26. আর যে স্থানে তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার লোক নও,’ সেই স্থানে তাদেরকে বলা হবে ‘জীবন্ত আল্লাহ্র সন্তান’।
27. আর ইশাইয়া ইসরাইলের বিষয়ে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে বলেন, “ইসরাইলের সন্তানদের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালুকণার মতও হয়, তবুও তার অবশিষ্ট অংশই নাজাত পাবে;
28. যেহেতু প্রভু দুনিয়ার উপর তাঁর বিচার দ্রুত সাধন করবেন এবং তা সমপূর্ণভাবেই করবেন।”
29. আর যেমন ইশাইয়া আগে বলেছিলেন, “বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য কিছু বংশধর অবশিষ্ট না রাখতেন, তবে আমরা সাদুম ও আমুরার মত হতাম।”
30. তবে আমরা কি বলবো? অ-ইহুদীরা, যারা ধার্মিকতার জন্য কঠোরভাবে চেষ্ট করতো না, তারা ধার্মিকতা লাভ করেছে, ঈমানের মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা লাভ করেছে;
31. কিন্তু ইসরাইল ধার্মিকতার শরীয়তের জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা করেও সেই শরীয়ত পর্যন্ত পৌঁছায় নি।
32. কারণ কি? কারণ হল তারা ঈমানের মধ্য দিয়ে সেই ধার্মিকতার জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা করে নি, কিন্তু কর্ম দ্বারা কঠোরভাবে চেষ্টা করতো।