7. কেননা গুনাহ্-স্বভাবের ইচ্ছামত চলা হল আল্লাহ্র প্রতি শত্রুতা, কারণ তা আল্লাহ্র শরীয়তের বশীভূত হয় না, বাস্তবিক হতে পারেও না।
8. আর যারা গুনাহ্-স্বভাবের অধীনে থাকে, তারা আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
9. কিন্তু তোমরা গুনাহ্-স্বভাবের অধীনে নও, পাক-রূহের অধীনে রয়েছ, অবশ্য যদি আল্লাহ্র রূহ্ তোমাদের মধ্যে বাস করেন। কিন্তু মসীহের রূহ্ যার অন্তরে নেই, সে মসীহের নয়।
10. আর যদি মসীহ্ তোমাদের মধ্যে থাকেন, তবে যদিও দেহ গুনাহ্র কারণে মৃত, কিন্তু রূহ্ ধার্মিকতার কারণে জীবন্ত।
11. আর যিনি মৃতদের মধ্য থেকে ঈসাকে উঠালেন, তাঁর রূহ্ যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তবে যিনি মৃতদের মধ্য থেকে মসীহ্ ঈসাকে উঠালেন, তিনি তোমাদের অন্তরে বাসকারী আপন রূহ্ দ্বারা তোমাদের মৃত্যুর অধীন দেহকেও জীবিত করবেন।
12. অতএব হে ভাইয়েরা, আমরা ঋণী, কিন্তু গুনাহ্-স্বভাবের কাছে নয় যে, গুনাহ্-স্বভাবের বশে জীবন যাপন করবো।
13. কারণ যদি গুনাহ্-স্বভাবের বশে জীবন যাপন কর তবে তোমরা নিশ্চয় মরবে, কিন্তু যদি পাক-রূহের দ্বারা দেহের ক্রিয়াগুলো ধ্বংস কর তবে জীবিত থাকবে।
14. কেননা যত লোক আল্লাহ্র রূহ্ দ্বারা চালিত হয়, তারাই আল্লাহ্র সন্তান।
15. বস্তুত তোমরা গোলামীর রূহ্ পাও নি যার জন্য ভয় করবে; কিন্তু দত্তক পুত্রের রূহ্ পেয়েছ, যে রূহে আমরা আল্লাহ্কে আব্বা, পিতা, বলে ডাকি।
16. পাক-রূহ্ নিজেও আমাদের রূহের সঙ্গে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা আল্লাহ্র সন্তান।
17. আর যখন সন্তান, তখন উত্তরাধিকারী, আল্লাহ্র উত্তরাধিকারী ও মসীহের সহ-উত্তরাধিকারী— যদি বাস্তবিক আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি তবে তাঁর সঙ্গে মহিমান্বিতও হব।
18. কারণ আমার বিবেচনা এই, আমাদের প্রতি যে মহিমা প্রকাশিত হবে, তার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।
19. কেননা সমস্ত সৃষ্টি ঐকান্তিক-ভাবে প্রতীক্ষা করছে কখন আল্লাহ্র সন্তানেরা প্রকাশিত হবে।
20. কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই বিফল হয়ে গেছে; অবশ্য স্বেচ্ছায় যে তা হয়েছে তা নয়, কিন্তু আল্লাহ্ই তা বিফলতার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
21. এই প্রত্যাশায় তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যে, সৃষ্টি নিজেও যেন ক্ষয়ের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্র সন্তানদের মহিমার স্বাধীনতার অংশীদার হতে পারে।
22. কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্যন্ত একসঙ্গে ভীষণ প্রসব-বেদনায় আর্তনাদ করছে।
23. কেবল তা নয়; কিন্তু রূহ্রূপ অগ্রিমাংশ পেয়েছি যে আমরা, আমরা নিজেরাও দত্তকপুত্রতার অপেক্ষা, অর্থাৎ নিজ নিজ দেহের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে অন্তরে আর্তনাদ করছি।
24. কেননা প্রত্যাশায় আমরা নাজাত পেয়েছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যা দেখতে পায়, সে তার জন্য কেন প্রত্যাশা করবে?