14. কেননা যত লোক আল্লাহ্র রূহ্ দ্বারা চালিত হয়, তারাই আল্লাহ্র সন্তান।
15. বস্তুত তোমরা গোলামীর রূহ্ পাও নি যার জন্য ভয় করবে; কিন্তু দত্তক পুত্রের রূহ্ পেয়েছ, যে রূহে আমরা আল্লাহ্কে আব্বা, পিতা, বলে ডাকি।
16. পাক-রূহ্ নিজেও আমাদের রূহের সঙ্গে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা আল্লাহ্র সন্তান।
17. আর যখন সন্তান, তখন উত্তরাধিকারী, আল্লাহ্র উত্তরাধিকারী ও মসীহের সহ-উত্তরাধিকারী— যদি বাস্তবিক আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি তবে তাঁর সঙ্গে মহিমান্বিতও হব।
18. কারণ আমার বিবেচনা এই, আমাদের প্রতি যে মহিমা প্রকাশিত হবে, তার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।
19. কেননা সমস্ত সৃষ্টি ঐকান্তিক-ভাবে প্রতীক্ষা করছে কখন আল্লাহ্র সন্তানেরা প্রকাশিত হবে।
20. কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই বিফল হয়ে গেছে; অবশ্য স্বেচ্ছায় যে তা হয়েছে তা নয়, কিন্তু আল্লাহ্ই তা বিফলতার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
21. এই প্রত্যাশায় তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যে, সৃষ্টি নিজেও যেন ক্ষয়ের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্র সন্তানদের মহিমার স্বাধীনতার অংশীদার হতে পারে।
22. কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্যন্ত একসঙ্গে ভীষণ প্রসব-বেদনায় আর্তনাদ করছে।
23. কেবল তা নয়; কিন্তু রূহ্রূপ অগ্রিমাংশ পেয়েছি যে আমরা, আমরা নিজেরাও দত্তকপুত্রতার অপেক্ষা, অর্থাৎ নিজ নিজ দেহের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে অন্তরে আর্তনাদ করছি।
24. কেননা প্রত্যাশায় আমরা নাজাত পেয়েছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যা দেখতে পায়, সে তার জন্য কেন প্রত্যাশা করবে?
25. কিন্তু আমরা যা দেখতে পাই না, যদি তার প্রত্যাশা করি, তবে ধৈর্য সহকারে তার অপেক্ষায় থাকি।
26. আর সেভাবে পাক-রূহ্ও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা যেভাবে মুনাজাত করা উচিত সেভাবে মুনাজাত করতে জানি না, কিন্তু পাক-রূহ্ নিজে অব্যক্ত আর্তনাদ দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
27. আর আল্লাহ্, যিনি সকলের অন্তর অনুসন্ধান করেন, তিনি পাক-রূহের মনের কথা জানেন, কারণ তিনি পবিত্র লোকদের পক্ষে আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারেই অনুরোধ করেন।
28. আর আমরা জানি, যারা আল্লাহ্কে মহব্বত করে, যারা তাঁর সঙ্কল্প অনুসারে আহ্বান পেয়েছ, তাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কাজ করছে।
29. কারণ তিনি যাদের আগে জানলেন, তাদের আপন পুত্রের প্রতিমূর্তির অনুরূপ হবার জন্য আগে নিরূপণও করলেন; যেন ইনি অনেক ভাইয়ের মধ্যে প্রথমজাত হন।
30. আর তিনি যাদেরকে আগে নির্ধারণ করলেন, তাদেরকে আহ্বানও করলেন, আর যাদেরকে আহ্বান করলেন, তাদেরকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করলেন; আর যাদেরকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করলেন, তাদেরকে মহিমান্বিতও করলেন।