1. হে ভাইয়েরা, তোমরা কি জান না— কারণ যারা শরীয়ত জানে, আমি তাদেরকেই বলছি— মানুষ যত কাল জীবিত থাকে, তত কাল পর্যন্ত শরীয়তের দাবী তার উপরে থাকে?
2. কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন সধবা স্ত্রী নিয়ম দ্বারা তার কাছে আবদ্ধ থাকে; কিন্তু স্বামী ইন্তেকাল করলে পর সেই আইনের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়।
3. সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকতে অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করে, তবে জেনাকারিণী বলে আখ্যাত হবে; কিন্তু স্বামীর মৃত্যু হলে সে ঐ আইন থেকে মুক্ত হয় এবং অন্য কাউকে বিয়ে করলেও জেনাকারীণী হবে না।
4. অতএব, হে আমার ভাইয়েরা, মসীহের দেহ দ্বারা শরীয়ত সম্বন্ধে তোমাদের মৃত্যু হয়েছে, যেন তোমরা অন্যের হও— যিনি মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন তাঁরই হও; যেন আমরা আল্লাহ্র জন্য ফল উৎপন্ন করি।
5. কেননা যখন আমরা গুনাহ্-স্বভাবের বশে ছিলাম, তখন শরীয়ত হেতু গুনাহ্-বাসনাগুলো মৃত্যুর নিমিত্ত ফল উৎপন্ন করার জন্য আমাদের শরীরের মধ্যে কাজ করতো।
6. কিন্তু এখন আমরা শরীয়ত থেকে মুক্ত হয়েছি; কেননা যাতে আবদ্ধ ছিলাম তার কাছে মরেছি, যেন লিখিত পুরানো শরীয়তের অধীনে নয় কিন্তু রূহের নতুনতায় গোলামীর কাজ করি।
7. তবে কি বলবো? শরীয়ত কি গুনাহ্? কোন ক্রমেই নয়; বরং গুনাহ্ কি, তা আমি জানতাম না, কেবল শরীয়ত দ্বারা তা জানতে পেরেছি; কেননা “লোভ করো না,” এই কথা যদি শরীয়ত না বলতো তবে লোভ কি তা জানতাম না।
8. কিন্তু গুনাহ্ সুযোগ পেয়ে সেই হুকুম দ্বারা আমার অন্তরে সব রকম লোভ জাগিয়ে তুলল; কেননা শরীয়ত ছাড়া গুনাহ্ মৃত থাকে।
9. আর আমি এক সময়ে শরীয়ত ছাড়া জীবিত ছিলাম, কিন্তু সেই হুকুম আসলে পর গুনাহ্ জীবিত হয়ে উঠলো, আর আমি মরলাম;
10. এবং জীবনজনক যে হুকুম, তা আমার মৃত্যুজনক বলে দেখা দিল।
11. ফলত গুনাহ্ সুযোগ পেয়ে হুকুম দ্বারা আমার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করলো ও তা দ্বারা আমার মৃত্যু ঘটাল।
12. অতএব শরীয়ত পবিত্র এবং হুকুমও পবিত্র, ন্যায্য ও উত্তম।