2. আমরা তো গুনাহ্র কাছে মৃত্যুবরণ করেছি, তবে আমরা কিভাবে আবার গুনাহ্র মধ্যে জীবন যাপন করবো?
3. অথবা তোমরা কি জান না যে, আমরা যত লোক মসীহ্ ঈসাতে বাপ্তিস্ম নিয়েছি, সকলে তাঁর মৃত্যুর মধ্যে বাপ্তিস্ম নিয়েছি?
4. অতএব আমরা তাঁর মৃত্যুর মধ্যে বাপ্তিস্ম দ্বারা তাঁর সঙ্গে সমাধিপ্রাপ্ত হয়েছি; যেন, মসীহ্ যেমন পিতার মহিমা দ্বারা মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হলেন, তেমনি আমরাও জীবনের নতুনতায় চলি।
5. কেননা যখন আমরা তাঁর মৃত্যুর সাদৃশ্যে তাঁর সঙ্গে একীভূত হয়েছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হব।
6. আমরা তো এই কথা জানি যে, আমাদের পুরানো সত্তা তাঁর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে, যেন গুনাহের এই দেহ শক্তিহীন হয়, যাতে আমরা গুনাহ্র গোলাম আর না থাকি।
7. কেননা যে মরেছে সে গুনাহ্ থেকে মুক্ত হয়েছে।
8. আর আমরা যখন মসীহের সঙ্গে মরেছি, তখন বিশ্বাস করি যে, তাঁর সঙ্গে জীবিতও থাকব।
9. কারণ আমরা জানি, মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন বলে মসীহ্ আর কখনও মরবেন না, তাঁর উপরে মৃত্যুর আর কর্তৃত্ব নেই।
10. ফলত তাঁর যে মৃত্যু হয়েছে, তা দ্বারা তিনি গুনাহ্র সম্বন্ধে একবারই মরলেন এবং তাঁর যে জীবন আছে, তা দ্বারা তিনি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে জীবিত আছেন।
11. তেমনি তোমরাও তোমাদেরকে গুনাহ্র কাছে মৃত, কিন্তু মসীহ্ ঈসাতে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে জীবিত বলে মনে কর।
12. অতএব গুনাহ্ তোমাদের মৃত্যুর অধীন দেহে কর্তৃত্ব না করচক— করলে তোমরা তার অভিলাষগুলোর বাধ্য হয়ে পড়বে;
13. আর নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্র হিসেবে গুনাহ্র কাছে তুলে দিও না, কিন্তু নিজেদেরকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত জেনে আল্লাহ্র হাতে তুলে দাও এবং নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্র হিসেবে আল্লাহ্কে দিয়ে দাও।
14. কেননা গুনাহ্ তোমাদের উপরে আর কর্তৃত্ব করবে না; কারণ তোমরা শরীয়তের অধীন নও, কিন্তু রহমতের অধীন।