10. ফলত তাঁর যে মৃত্যু হয়েছে, তা দ্বারা তিনি গুনাহ্র সম্বন্ধে একবারই মরলেন এবং তাঁর যে জীবন আছে, তা দ্বারা তিনি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে জীবিত আছেন।
11. তেমনি তোমরাও তোমাদেরকে গুনাহ্র কাছে মৃত, কিন্তু মসীহ্ ঈসাতে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে জীবিত বলে মনে কর।
12. অতএব গুনাহ্ তোমাদের মৃত্যুর অধীন দেহে কর্তৃত্ব না করচক— করলে তোমরা তার অভিলাষগুলোর বাধ্য হয়ে পড়বে;
13. আর নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্র হিসেবে গুনাহ্র কাছে তুলে দিও না, কিন্তু নিজেদেরকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত জেনে আল্লাহ্র হাতে তুলে দাও এবং নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্র হিসেবে আল্লাহ্কে দিয়ে দাও।
14. কেননা গুনাহ্ তোমাদের উপরে আর কর্তৃত্ব করবে না; কারণ তোমরা শরীয়তের অধীন নও, কিন্তু রহমতের অধীন।
15. তবে দাঁড়াল কি? আমরা শরীয়তের অধীন নই, রহমতের অধীন, এজন্য কি গুনাহ্ করবো? নিশ্চয় তা নয়।
16. তোমরা কি জান না যে, হুকুম পালন করার জন্য যার কাছে গোলাম হিসেবে নিজদেরকে তুলে দেও, যার হুকুম মান, তোমরা তারই গোলাম; হয় মৃত্যুজনক গুনাহ্র গোলাম, নয় ধার্মিকতাজনক হুকুম পালনের গোলাম?
17. কিন্তু আল্লাহ্র শুকরিয়া হোক যে, তোমরা গুনাহ্র গোলাম ছিলে বটে, কিন্তু যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছে তোমরা সর্বান্তঃকরণের সঙ্গে সেই শিক্ষার বাধ্য হয়েছ;
18. এবং গুনাহ্ থেকে মুক্ত হয়ে তোমরা ধার্মিকতার গোলাম হয়েছ।
19. মানুষের দুর্বলতার দরুন আমি মানুষের মত কথা বলছি। কারণ, তোমরা যেমন আগে অধর্মের লক্ষ্যে নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাপাকীতা ও অধর্মের কাছে গোলাম হিসেবে তুলে দিয়েছিলে, তেমনি এখন পবিত্রতার লক্ষ্যে নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার কাছে গোলাম হিসেবে তুলে দাও।
20. কেননা যখন তোমরা গুনাহ্র গোলাম ছিলে, তখন ধার্মিকতার নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত ছিলে।
21. ভাল, এখন যে সমস্ত বিষয়ে তোমাদের লজ্জা বোধ হয়, সেই সময়ে সেসবে তোমাদের কি ফল হত? বাস্তবিক সেসব কিছুর শেষ ফল হল মৃত্যু।
22. কিন্তু এখন গুনাহ্ থেকে মুক্ত হয়ে এবং আল্লাহ্র গোলাম হয়ে তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাচ্ছ এবং তার শেষ ফল হল অনন্ত জীবন।
23. কেননা গুনাহ্র বেতন মৃত্যু; কিন্তু আল্লাহ্র মেহেরবানী-দান আমাদের প্রভু ঈসা মসীহেতে অনন্ত জীবন।