6. কেননা তা হলে আল্লাহ্ কেমন করে দুনিয়ার বিচার করবেন?
7. কিন্তু আমার মিথ্যায় যদি আল্লাহ্র সত্য তাঁর গৌরবার্থে উপচে পড়ে, তবে আমিও বা এখন গুনাহ্গার বলে আর বিচারের সম্মুখীন হচ্ছি কেন?
8. আর কেনই বা বলবো না— যেমন আমাদের নিন্দা আছে এবং যেমন কেউ কেউ বলে যে, আমরা বলে থাকি, ‘এসো, মন্দ কাজ করি, যেন উত্তম ফল ফলে’? তাদের দণ্ডাজ্ঞা ন্যায্য।
9. তবে দাঁড়াল কি? আমাদের অবস্থা কি অন্য লোকদের চেয়ে ভাল? তা নিশ্চয় না; কারণ আমরা ইতোপূর্বে ইহুদী ও গ্রীক উভয়ের বিরুদ্ধে দোষ দিয়েছি যে, সকলেই গুনাহ্র অধীন।
10. যেমন লেখা আছে,“ধার্মিক কেউই নেই, এক জনও নেই,
11. বুঝতে পারে, এমন কেউই নেই,আল্লাহ্র খোঁজ করে, এমন কেউই নেই।
12. সকলেই বিপথে গেছে, তারা একসঙ্গে অকর্মণ্য হয়েছে;দয়া দেখায় এমন কেউই নেই, এক জনও নেই।
13. তাদের কণ্ঠ অনাবৃত কবরস্বরূপ;তারা জিহ্বা দ্বারা ছলনা করেছে;তাদের ঠোঁটের নিচে কালসাপের বিষ থাকে;
14. তাদের মুখ বদদোয়া ও কটুবাক্যে পূর্ণ;
15. তাদের পা রক্তপাতের জন্য দ্রুতগামী।
16. তাদের পথে পথে থাকে ধ্বংস ও বিনাশ,
17. এবং শান্তির পথ তারা জানে নি;
18. তারা আল্লাহ্কে ভয় করে না।”
19. আর আমরা জানি, শরীয়ত যা কিছু বলে, তা শরীয়তের অধীন লোকদেরকে বলে; যেন প্রত্যেক মুখ বন্ধ হয় এবং সমস্ত দুনিয়া আল্লাহ্র বিচারের অধীন হয়।
20. যেহেতু শরীয়তের কাজ দ্বারা কোন প্রাণী তাঁর সাক্ষাতে ধার্মিক বিবেচিত হবে না, কেননা শরীয়ত দ্বারা গুনাহ্র জ্ঞান জন্মে।