6. তিনি তো প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন,
7. সৎকর্মের সঙ্গে ধৈর্য সহযোগে যারা মহিমা, সমাদর ও অক্ষয়তার খোঁজ করে, তাদেরকে তিনি অনন্ত জীবন দেবেন।
8. কিন্তু যারা প্রতিযোগী এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার অনুসারী, তাদের প্রতি আল্লাহ্র গজব ও রোষ, দুঃখ-কষ্ট ও সঙ্কট নেমে আসবে;
9. প্রথমে ইহুদীর, পরে অ-ইহুদীদেরও উপরে, অর্থাৎ কদাচারী সমস্ত মানুষের প্রাণের উপরে বর্ষিত হবে।
10. কিন্তু প্রত্যেক সদাচারী মানুষের প্রতি, প্রথমে ইহুদীদের, পরে অ-ইহুদীদেরও প্রতি প্রতাপ, সমাদর ও শান্তি বর্তাবে।
11. কেননা আল্লাহ্ কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না।
12. কারণ শরীয়তবিহীন অবস্থায় যত লোক গুনাহ্ করেছে, শরীয়ত-বিহীন অবস্থায় তাদের বিনাশও ঘটবে; আর শরীয়তের অধীনে যত লোক গুনাহ্ করেছে, শরীয়ত দ্বারাই তাদের বিচার করা যাবে।
13. কারণ যারা শরীয়ত শোনে, তারা যে আল্লাহ্র কাছে ধার্মিক, এমন নয়, কিন্তু যারা শরীয়ত পালন করে, তারাই ধার্মিক গণিত হবে।
14. যে অ-ইহুদীরা কোন শরীয়ত পায় নি, তারা যখন স্বভাবত শরীয়ত অনুযায়ী আচরণ করে, তখন কোন শরীয়ত না পেলেও তাদের নিজেদের শরীয়ত নিজেরাই হয়ে ওঠে।
15. তারা শরীয়তের দাবি-দাওয়া নিজ নিজ অন্তরে লেখা বলে দেখায়, তাদের বিবেকও সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দেয় এবং তাদের নানা চিন্তা হয় তাদেরকে দোষী করে, না হয় তাদের পক্ষ সমর্থন করে—
16. যেদিন আল্লাহ্ আমার তবলিগকৃত ইঞ্জিল অনুসারে ঈসা মসীহ্ দ্বারা মানুষের গুপ্ত বিষয়গুলোর বিচার করবেন সেদিন তা প্রকাশিত হবে।
17. তুমি হয় তো ইহুদী নামে আখ্যাত, মূসার শরীয়তের উপরে নির্ভর করছো, আল্লাহ্কে নিয়ে গর্ববোধ করছো,
18. শরীয়ত থেকে শিক্ষা লাভ করাতে তাঁর ইচ্ছা জানে এবং যা যা শ্রেয় সেই সবের অনুমোদন করে থাক,
19. নিশ্চয় বুঝেছ যে, তুমিই অন্ধদের পথ প্রদর্শক, যারা অন্ধকারে বাস করে তুমিই তাদের নূর,
20. তুমি অবোধদের সংশোধন-কারী, শিশুদের শিক্ষক, কারণ তুমি শরীয়তের মধ্যে জ্ঞান ও সত্যের পরিচয় পেয়েছ।
21. ভাল, তুমি যে অপরকে শিক্ষা দিচ্ছ, তুমি নিজেকে শিক্ষা দাও না কেন? তুমি যে চুরি করতে নেই বলে তবলিগ করছো, তুমি কি চুরি করছো না?
22. তুমি যে জেনা না করার কথা বলছো, তুমি কি জেনা করছো না? তুমি যে মূর্তিপূজা ঘৃণা করছো, তুমি কি দেবালয়ের সম্পদ লুট করছো না?