8. কেননা আমি বলি যে, আল্লাহ্র সত্যের জন্যই মসীহ্ খৎনা সম্বন্ধীয় পরিচারক হয়েছেন, যেন তিনি পূর্বপুরুষদেরকে দেওয়া প্রতিজ্ঞাগুলো স্থির করেন,
9. এবং অ-ইহুদীরা যেন আল্লাহ্র করুণার জন্যই তাঁর গৌরব করে; যেমন লেখা আছে, “এজন্য আমি জাতিদের মধ্যে তোমার গৌরব স্বীকার করবো, তোমার নামের উদ্দেশে প্রশংসা-গান করবো।”
10. আবার তিনি বলেন, “জাতিরা! তাঁর লোকদের সঙ্গে আনন্দ কর।”
11. আবার “সমস্ত জাতি প্রভুর প্রশংসা কর, সমস্ত লোকবৃন্দ তাঁর প্রশংসা করুক।”
12. আবার ইশাইয়া বলেন, “ইয়াসিরের মূল থাকবে, আর জাতিদের উপর কর্তৃত্ব করতে এক জন দাঁড়াবেন, তাঁরই উপর জাতিরা প্রত্যাশা রাখবে।”
13. প্রত্যাশার আল্লাহ্ তোমাদেরকে ঈমান দ্বারা সমস্ত আনন্দ ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পাক-রূহের পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচে পড়।
14. আর, হে আমার ভাইয়েরা, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝতে পারছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমস্ত জ্ঞানে পূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
15. তবুও তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি বলে কয়েকটি বিষয় অপেক্ষাকৃত সাহসপূর্বক লিখলাম, কারণ আল্লাহ্ কর্তৃক আমাকে এই রহমত দান করা হয়েছে,
16. যেন আমি মসীহ্ ঈসার সেবক হয়ে, অ-ইহুদীদের কাছে আল্লাহ্র ইঞ্জিলের ইমামত্ব করি, যেন অ-ইহুদীরা পাক-রূহে পবিত্রীকৃত উপহার হিসেবে গ্রাহ্য হয়।
17. অতএব মসীহ্ ঈসাতে আল্লাহ্ সম্বন্ধীয় বিষয়ে আমার গর্ব করার অধিকার আছে।
18. কেননা আমি সেই বিষয়ে এমন একটি কথাও বলতে সাহস করবো না, যা অ-ইহুদীদেরকে বাধ্য করার জন্য মসীহ্ আমার মধ্য দিয়ে সাধন করেন নি;
19. তিনি কথায় ও কাজে, নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের পরাক্রমে, পাক-রূহের পরাক্রমে এরকম সাধন করেছেন যে, জেরুশালেম থেকে ইল্লুরিকা পর্যন্ত চারদিকে আমি মসীহের সুসমাচার সমপূর্ণভাবে তবলিগ করেছি।
20. আর আমার লক্ষ্য এই, মসীহের নাম যে স্থানে কখনও উচ্চারিত হয় নি এমন স্থানে যেন সুসমাচার তবলিগ করি, পরের স্থাপিত ভিত্তিমূলের উপরে যেন না গাঁথি।
21. যেমন লেখা আছে, “তাঁর সংবাদ যাদেরকে দেওয়া যায় নি, তারা দেখতে পাবে; এবং যারা শোনে নি, তারা বুঝতে পারবে।”
22. এই কারণ বশত আমি তোমাদের কাছে যেতে চেয়েও অনেকবার বাধা পেয়েছি।