17. অতএব মসীহ্ ঈসাতে আল্লাহ্ সম্বন্ধীয় বিষয়ে আমার গর্ব করার অধিকার আছে।
18. কেননা আমি সেই বিষয়ে এমন একটি কথাও বলতে সাহস করবো না, যা অ-ইহুদীদেরকে বাধ্য করার জন্য মসীহ্ আমার মধ্য দিয়ে সাধন করেন নি;
19. তিনি কথায় ও কাজে, নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের পরাক্রমে, পাক-রূহের পরাক্রমে এরকম সাধন করেছেন যে, জেরুশালেম থেকে ইল্লুরিকা পর্যন্ত চারদিকে আমি মসীহের সুসমাচার সমপূর্ণভাবে তবলিগ করেছি।
20. আর আমার লক্ষ্য এই, মসীহের নাম যে স্থানে কখনও উচ্চারিত হয় নি এমন স্থানে যেন সুসমাচার তবলিগ করি, পরের স্থাপিত ভিত্তিমূলের উপরে যেন না গাঁথি।
21. যেমন লেখা আছে, “তাঁর সংবাদ যাদেরকে দেওয়া যায় নি, তারা দেখতে পাবে; এবং যারা শোনে নি, তারা বুঝতে পারবে।”
22. এই কারণ বশত আমি তোমাদের কাছে যেতে চেয়েও অনেকবার বাধা পেয়েছি।
23. কিন্তু এখন এই সব অঞ্চলে আমার আর স্থান নেই এবং অনেক বছর ধরে আকাঙ্খা করে আসছি যে, স্পেন দেশে যাবার সময়ে তোমাদের ওখানে যাব;
24. কারণ আশা করি যে, যাবার সময়ে তোমাদের দেখতে পাব এবং প্রথমে তোমাদের সঙ্গলাভে আমি কিছুকাল তৃপ্ত হলে তোমরা আমাকে সেখানে এগিয়ে দেবে।
25. কিন্তু এখন পবিত্র লোকদের পরিচর্যা করতে জেরুশালেমে যাচ্ছি।
26. কারণ জেরুশালেমের পবিত্র লোকদের মধ্যে যারা দীন-দরিদ্র, তাদের জন্য ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া প্রদেশের লোকেরা খুশি হয়ে সহভাগিতা-সূচক কিছু চাঁঁদা সংগ্রহ করেছে।
27. বাস্তবিক তারা খুশি হয়েই তা করেছে, আর তারা ওদের কাছে ঋণীও আছে; কেননা যখন অ-ইহুদীরা রূহানিক বিষয়ে তাদের সহভাগী হয়েছে, তখন ওরাও সাংসারিক বিষয়ে তাদের সেবা করার জন্য ঋণী।
28. অতএব সেই কাজ সম্পন্ন করার এবং যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে তা তাদের দেবার পর, আমি তোমাদের কাছ দিয়ে স্পেন দেশে যাব।
29. আর আমি জানি, যখন তোমাদের কাছে আসবো তখন মসীহের পরিপূর্ণ দোয়া নিয়েই আসবো।
30. ভাইয়েরা, আমাদের ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে এবং পাক-রূহের মহব্বতের মধ্য দিয়ে আমি তোমাদেরকে ফরিয়াদ করি, তোমরা আল্লাহ্র কাছে আমাদের জন্য মুনাজাতের মধ্য দিয়ে আমার সঙ্গে প্রাণপণ কর,
31. যেন আমি এহুদিয়ার যে সব লোক ঈমান আনে নি সেই লোকদের থেকে রক্ষা পাই এবং জেরুশালেমের জন্য আমার যে পরিচর্যা, তা যেন পবিত্র লোকদের কাছে গ্রাহ্য হয়।
32. আল্লাহ্র ইচ্ছায় আমি যেন তোমাদের কাছে আনন্দে উপস্থিত হয়ে তোমাদের সঙ্গে প্রাণ জুড়াতে পারি।
33. শান্তির আল্লাহ্ তোমাদের সকলের সঙ্গে থাকুন। আমিন।