10. সঙ্কটের দিনে যদি অবসন্ন হও,তবে তোমার শক্তি সঙ্কুচিত হবে।
11. তাদেরকে উদ্ধার কর,যারা মৃত্যুর কাছে নীত হচ্ছে,যারা কাঁপতে কাঁপতে বধ্যভূমিতে যাচ্ছে,আহা! তাদেরকে রক্ষা কর।
12. যদি বল, দেখ, আমরা এ জানতাম না,তবে যিনি হৃদয় পরিমাপ করেন, তিনি কি তা বোঝেন না?যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তা জানতে পারেন না?তিনি কি প্রত্যেক মানুষকে তার কর্মানুযায়ী ফল দেবেন না?
13. হে বৎস, মধু খাও, যেহেতু তা উত্তম,মধুর চাক খাও, তা তোমার রসনায় মিষ্ট লাগে;
14. জেনো, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞা তদ্রূপ;তা পেলে তোমার ভবিষ্যতের আশা থাকবে,তোমার আশা ছিন্ন হবে না।
15. রে দুষ্ট, তুমি ধার্মিকের নিবাসের বিরুদ্ধে ওৎ পেতে থেকো না,তার বাসস্থান নষ্ট করো না।
16. কেননা ধার্মিক সাত বার পড়লেও আবার উঠে;কিন্তু দুষ্টেরা দুর্যোগে নিপাতিত হবে।
17. তোমার দুশমনের পতনে আনন্দ করো না,সে নিপাতিত হলে তোমার অন্তর উল্লসিত না হোক;
18. পাছে মাবুদ তা দেখে অসন্তুষ্ট হন,এবং তার উপর থেকে তাঁর ক্রোধ সরিয়ে নেন।
19. তুমি দুর্বৃত্তদের বিষয়ে রুষ্ট হয়ো না;দুষ্টদের প্রতি ঈর্ষা করো না।
20. যেহেতু দুর্বৃত্ত লোকের ভবিষ্যতের আশা নেই,দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যাবে।
21. হে বৎস, মাবুদকে ভয় কর এবং বাদশাহ্কেও ভয় কর,পরিবর্তনপ্রিয় লোকদের সঙ্গে যোগ দিও না;
22. কেননা অকস্মাৎ তাদের বিপদ ঘটবে;উভয়ের দ্বারা যে সংহার হবে তা কে জানে?
23. এই সমস্ত জ্ঞানবানদের উক্তি।বিচারে পক্ষপাতিত্ব করা ভাল নয়।
24. যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক,জাতিরা তাকে বদদোয়া দেবে,লোকবৃন্দ তাকে ঘৃণা করবে।
25. কিন্তু যারা তাকে ধমক দেয়, তারা প্রীতিপাত্র হবে,তাদের প্রতি উত্তম দোয়া বর্ষিত হবে।