10. তখন মৃতদের মধ্য থেকে উত্থান কি, তাঁরা এই বিষয় পরস্পর আলোচনা করে সেই কথা নিজেদের মধ্যে রেখে দিলেন।
11. পরে তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, বললেন, আলেমেরা তো বলেন, প্রথমে ইলিয়াসকে আসতে হবে।
12. তিনি তাঁদেরকে বললেন, ইলিয়াস প্রথমে এসে সকল বিষয় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন বটে; আর ইবনুল-ইনসানের বিষয়ে কিভাবেই বা লেখা রয়েছে যে, তাঁকে অনেক দুঃখ পেতে ও অবজ্ঞাত হতে হবে?
13. কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, ইলিয়াসের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, সেই অনুসারে তিনি এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁর প্রতি যা ইচ্ছা তা-ই করেছে।
14. পরে তাঁরা সাহাবীদের কাছে এসে দেখলেন, তাঁদের চারদিকে অনেক লোক, আর আলেমেরা তাঁদের সঙ্গে বাদানুবাদ করছে।
15. তাঁকে দেখামাত্র সমস্ত লোক অতিশয় চমৎকৃত হল ও তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে সালাম জানালো।
16. তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এদের সঙ্গে তোমরা কোন্ বিষয়ে বাদানুবাদ করছো?
17. তাতে লোকদের মধ্যে এক জন জবাবে বললো, হুজুর, আমার পুত্রটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম, তাকে বোবা রূহে পেয়েছে;
18. আর সেটি তাকে যেখানে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তার মুখে ফেনা উঠে এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত হয়ে যায়; আমি আপনার সাহাবীদেরকে তা ছাড়াতে বললাম, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।
19. জবাবে তিনি তাদেরকে বললেন, হে অবিশ্বাসী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের কাছে থাকব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করবো? ওকে আমার কাছে আন।
20. তারা তাকে তাঁর কাছে আনলো; তাঁকে দেখামাত্র সেই রূহ্ তাকে অতিশয় মুচড়ে ধরলো। সে ভূমিতে পড়ে গড়াগড়ি দিতে লাগল আর মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে লাগল।
21. তখন তিনি তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কতদিন হল তার এই রকম হয়েছে?” সে বললো, ছেলে বেলা থেকে;