15. পরে তিনি তাঁদেরকে হুকুম করলেন, সাবধান, তোমরা ফরীশীদের খামির বিষয়ে ও হেরোদের খামির বিষয়ে সাবধান থেকো।
16. তাতে তাঁরা পরস্পর তর্ক করে বলতে লাগলেন, আমাদের কাছে তো রুটি নেই।
17. তা বুঝে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের রুটি নেই বলে কেন তর্ক করছো? তোমরা কি এখনও কিছু জানতে পারছো না, বুঝতে পারছো না? তোমাদের অন্তঃকরণ কি কঠিন হয়ে রয়েছে?
18. চোখ থাকতে কি দেখতে পাও না? কান থাকতে কি শুনতে পাও না? আর মনেও কি পড়ে না?
19. আমি যখন পাঁচ হাজার লোকের মধ্যে পাঁচখানা রুটি ভেঙ্গে দিয়েছিলাম, তখন তোমরা গুঁড়াগাঁড়ায় ভরা কত ডালা তুলে নিয়েছিলে? তাঁরা বললেন, বারো ঝুড়ি।
20. আর যখন চার হাজার লোকের মধ্যে সাতখানা রুটি ভেঙ্গে দিয়েছিলাম, তখন গুঁড়াগাঁড়ায় ভরা কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে? তাঁরা বললেন, সাত ঝুড়ি।
21. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা কি এখনও বুঝতে পারছো না?
22. পরে তাঁরা বৈৎসৈদাতে আসলেন; আর লোকেরা এক জন অন্ধকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাকে স্পর্শ করেন।
23. তখন তিনি সেই অন্ধের হাত ধরে তাকে গ্রামের বাইরে নিয়ে গেলেন; পরে তার চোখে থুথু দিয়ে ও তার উপরে হাত রেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিছু দেখতে পাচ্ছ কি?
24. সে চোখ তুলে চাইলো ও বললো, মানুষ দেখছি, তারা গাছের মত দেখতে, হেঁটে বেড়াচ্ছে।
25. তখন তিনি তার চোখের উপরে আবার হাত রাখলেন, তাতে সে স্থির দৃষ্টিপাত করলো ও সুস্থ হল, স্পষ্টভাবে সকলই দেখতে পেল।
26. পরে তিনি তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন, বললেন, এই গ্রামে প্রবেশ করো না।
27. পরে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা প্রস্থান করে সিজারিয়া-ফিলিপী অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে গেলেন। আর পথের মধ্যে তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?