2. তারা দেখলো যে, তাঁর কয়েক জন সাহাবী নাপাক অবস্থায় অর্থাৎ হাত না ধুয়ে আহার করছেন।
3. ফরীশীরা ও ইহুদীরা সকলে প্রাচীনদের পরমপরাগত নিয়ম মান্য করায় ভাল করে হাত না ধুয়ে আহার করে না।
4. আর বাজার থেকে আসলে তারা গোসল না করে আহার করে না। এছাড়া তারা আরও অনেক বিষয় মানবার হুকুম পেয়েছে, যথা, ঘটি, ঘড়া ও ব্রোঞ্জের নানা পাত্র ইত্যাদি ধোয়া।
5. পরে ফরীশীরা ও আলেমেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, তোমার সাহাবীরা কেন প্রাচীনদের পরমপরাগত নিয়ম অনুসারে চলে না, কিন্তু নাপাক হাতে আহার করে?
6. তিনি তাদেরকে বললেন, ভণ্ডরা, ইশাইয়া তোমাদের বিষয়ে সঠিক কথাই ভবিষ্যদ্বাণী বলেছেন, যেমন লেখা আছে,“এই লোকেরা মুখেই আমার সম্মানকরে,কিন্তু এদের অন্তঃকরণ আমার কাছথেকে দূরে থাকে।
7. এরা অনর্থক আমার এবাদত করে,মানুষের আদেশমালা ধর্মসূত্র বলে শিক্ষা দেয়।”
8. তোমরা আল্লাহ্র হুকুম ত্যাগ করে মানুষের পরমপরাগত নিয়ম ধরে রয়েছ।
9. তিনি তাদেরকে আরও বললেন, তোমাদের পরমপরাগত নিয়ম পালনের জন্য তোমরা আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করবার জন্য ভাল পথই তোমাদের আছে।
10. কেননা মূসা বলেছেন, “তুমি তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সম্মান কর,” আর, “যে কেউ পিতার বা মাতার নিন্দা করে, তার প্রাণদণ্ড হোক।”
11. কিন্তু তোমরা বলে থাক, মানুষ যদি পিতাকে কিংবা মাতাকে বলে, ‘আমার কাছ থেকে যা দিয়ে তোমার উপকার হতে পারতো, তা কোরবান, অর্থাৎ আল্লাহ্কে দেওয়া হয়েছে,’
12. তবে তোমরা তাকে পিতার বা মাতার জন্য আর কিছুই করতে দাও না।
13. এভাবে তোমাদের পরমপরাগত নিয়ম দ্বারা তোমরা আল্লাহ্র কালাম নিষ্ফল করছো; আর এই রকম অনেক কাজ করে থাক।
14. পরে তিনি লোকদেরকে পুনরায় কাছে ডেকে বললেন, তোমরা সকলে আমার কথা শোন ও বুঝ।
15. মানুষের বাইরে এমন কিছুই নেই, যা তার ভিতরে গিয়ে তাকে নাপাক করতে পারে;
16. কিন্তু যা কিছু মানুষ থেকে বের হয়, সে সবই মানুষকে নাপাক করে।
17. পরে তিনি লোকদের ছেড়ে বাড়ির ভিতরে আসলে পর তাঁর সাহাবীরা তাঁকে সেই দৃষ্টান্তটির অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন।