48. পরে সম্মুখ বাতাসের দরুন তাঁদের নৌকা বাইতে কষ্ট হচ্ছে দেখে, তিনি প্রায় রাতের চতুর্থ প্রহরে সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে আসলেন এবং তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে উদ্যত হলেন।
49. কিন্তু সমুদ্রের উপর দিয়ে তাঁকে হাঁটতে দেখে তাঁরা তাঁকে ভূত মনে করলেন, আর চেঁচিয়ে উঠলেন;
50. কারণ সকলেই তাঁকে দেখেছিলেন ও ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, তাঁদেরকে বললেন, সাহস কর, এই আমি, ভয় করো না।
51. পরে তিনি তাঁদের কাছে নৌকায় উঠলেন, আর বাতাস থেমে গেল; তাতে তাঁরা ভীষণ আশ্চর্য হলেন।
52. কেননা রুটির বিষয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন নি, তাঁদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে পড়েছিল।
53. পরে তাঁরা পার হয়ে স্থলে, গিনেষরৎ প্রদেশে, এসে নৌকা লাগালেন।
54. আর নৌকা থেকে বের হলে লোকেরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে চিনতে পারল;
55. তারা সমুদয় অঞ্চলে চারদিকে দৌড়াতে লাগল, আর অসুস্থ লোকদেরকে খাটের উপরে করে তিনি যে কোন স্থানে আছেন তা জেনে সেই স্থানে আনতে লাগল।
56. আর গ্রামে, বা নগরে, বা পাড়ায়, যে কোন স্থানে তিনি প্রবেশ করলেন, সেই স্থানে তারা অসুস্থদেরকে বাজারে নিয়ে আসল এবং তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন ওরা তাঁর কাপড়ের প্রান্তভাগটুকু স্পর্শ করতে পারে, আর যত লোক তাঁকে স্পর্শ করলো সকলেই সুস্থ হল।