33. কিন্তু লোকে তাঁদেরকে যেতে দেখলো এবং অনেকে তাঁদেরকে চিনতে পারল, তাই সব নগর থেকে দৌড়ে তাঁদের আগেই সেখানে উপস্থিত হল।
34. তখন ঈসা বের হয়ে অনেক লোক দেখে তাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হলেন, কেননা তারা পালক-বিহীন ভেড়ার পালের মত ছিল; আর তিনি তাদেরকে অনেক বিষয় শিক্ষা দিতে লাগলেন।
35. পরে দিবা প্রায় অবসান হলে তাঁর সাহাবীরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, এটি নির্জন স্থান এবং বেলাও প্রায় শেষ হয়ে গেছে;
36. এদেরকে বিদায় করুন, যেন এরা চারদিকে পাড়ায় পাড়ায় ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারে।
37. কিন্তু জবাবে তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরাই ওদেরকে আহার দাও। তাঁরা বললেন, আমরা গিয়ে কি দুই শত সিকির রুটি কিনে নিয়ে ওদেরকে খেতে দেব?
38. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের কাছে কয়খানা রুটি আছে? গিয়ে দেখ। তাঁরা দেখে বললেন, পাঁচখানি রুটি এবং দু’টি মাছ আছে।
39. তখন তিনি সকলকে সবুজ ঘাসের উপরে দলে দলে বসিয়ে দিতে হুকুম করলেন।
40. তারা এক শত এক শত করে ও পঞ্চাশ পঞ্চাশ জন করে সারি সারি বসে গেল।
41. পরে তিনি সেই পাঁচখানি রুটি ও দু’টি মাছ নিয়ে আসমানের দিকে চোখ তুলে দোয়া করলেন এবং সেই রুটি কয়খানি ভেঙ্গে লোকদের সম্মুখে রাখার জন্য সাহাবীদেরকে দিতে লাগলেন; আর সেই দু’টি মাছও সকলকে ভাগ করে দিলেন।
42. তাতে সকলে আহার করে তৃপ্ত হল।
43. পরে তাঁরা গুঁড়াগাঁড়ায় ভরা বারো ডালা এবং মাছও কিছু তুলে নিলেন।
44. যারা সেই রুটি ভোজন করেছিল, তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই ছিল পাঁচ হাজার।
45. পরে তিনি তৎক্ষণাৎ সাহাবীদেরকে দৃঢ় করে বলে দিলেন, যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে বৈৎসৈদার দিকে যান, আর ইতোমধ্যে তিনি লোকদেরকে বিদায় দিলেন।
46. লোকদেরকে বিদায় করে তিনি মুনাজাত করার জন্য পর্বতে চলে গেলেন।
47. যখন সন্ধ্যা হল, তখন নৌকাখানি সমুদ্রের মাঝখানে ছিল এবং তিনি স্থলে ছিলেন।
48. পরে সম্মুখ বাতাসের দরুন তাঁদের নৌকা বাইতে কষ্ট হচ্ছে দেখে, তিনি প্রায় রাতের চতুর্থ প্রহরে সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে আসলেন এবং তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে উদ্যত হলেন।