13. আর তাঁরা অনেক বদ-রূহ্ ছাড়ালেন ও অনেক অসুস্থ লোকের মাথায় তেল দিয়ে তাদেরকে সুস্থ করলেন।
14. আর বাদশাহ্ হেরোদ তাঁর কথা শুনতে পেলেন, কেননা তাঁর নাম প্রসিদ্ধ হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়া মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন, আর সেজন্য পরাক্রমগুলো তাঁতে কাজ করে চলেছে।
15. কিন্তু কেউ কেউ বললো, উনি ইলিয়াস এবং কেউ কেউ বললো, উনি এক জন নবী, নবীদের মধ্যে কোন এক জনের মত।
16. কিন্তু হেরোদ তাঁর কথা শুনে বললেন, আমি যে ইয়াহিয়ার মাথা কেটে ফেলেছি, তিনিই জীবিত হয়ে উঠেছেন।
17. কারণ হেরোদ আপন ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার জন্য নিজেই লোক পাঠিয়ে ইয়াহিয়াকে ধরে কারাগারে বন্দী করেছিলেন, কেননা তিনি হেরোদিয়াকে বিয়ে করেছিলেন।
18. কারণ ইয়াহিয়া হেরোদকে বলেছিলেন, ভাইয়ের স্ত্রীকে রাখা আপনার উচিত নয়।
19. আর হেরোদিয়া তাঁর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়ে উঠে নি,
20. কারণ হেরোদ ইয়াহিয়াকে ধার্মিক ও পবিত্র লোক জেনে ভয় করতেন ও তাঁকে রক্ষা করতেন। আর তাঁর কথা শুনে তিনি ভীষণ অস্বস্তি বোধ করলেও তাঁর কথা শুনতে ভাল-বাসতেন।
21. পরে এক সুবিধার দিন উপস্থিত হল, যখন হেরোদ তাঁর জন্মদিনে তাঁর বড় বড় রাজ-কর্মচারীদের, সেনাপতিদের এবং গালীলের প্রধান লোকদের জন্য এক রাতে ভোজ প্রস্তুত করলেন;
22. আর হেরোদিয়ার কন্যা ভিতরে এসে ও নেচে হেরোদ এবং যাঁরা তাঁর সঙ্গে ভোজে বসেছিলেন, তাঁদের সন্তুষ্ট করলো। তাতে বাদশাহ্ সেই কন্যাকে বললেন, তোমার যা ইচ্ছা হয়, আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দেব।
23. আর তিনি শপথ করে তাকে বললেন, অর্ধেক রাজ্য পর্যন্ত হোক, আমার কাছে যা চাইবে, তা-ই তোমাকে দেব।
24. তাতে সে বাইরে গিয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করলো, কি চাইব? সে বললো, বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়ার মাথা।
25. সে তৎক্ষণাৎ বাদশাহ্র কাছে এসে তা চাইল, বললো, আমি ইচ্ছা করি যে, আপনি এখনই বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়ার মাথা থালায় করে আমাকে দিন।
26. তখন বাদশাহ্ অতিশয় দুঃখিত হলেও তাঁর শপথের জন্য এবং যারা ভোজে বসেছিল, তাদের ভয়ে, তাকে ফিরিয়ে দিতে চাইলেন না।
27. আর বাদশাহ্ তৎক্ষণাৎ এক জন সেনাকে পাঠিয়ে ইয়াহিয়ার মাথা আনতে হুকুম করলেন; সে কারাগারে গিয়ে তাঁর মাথা কেটে ফেললো,
28. পরে তাঁর মাথা থালায় করে এনে সেই কন্যাকে দিলে পর সে তা নিয়ে গিয়ে তার মাকে দিল।
29. এই সংবাদ পেয়ে তাঁর সাহা— বীরা এসে তাঁর লাশ নিয়ে গিয়ে দাফন করলো।